হলিউড অঙ্গনে অভিনেতা হিসেবে শন পেন সুপরিচিত। ব্যাড বয়েজ (১৯৮৩), ক্যাজুয়ালটিজ অফ ওয়ার (১৯৮৯), ডেড ম্যান ওয়াকিং (১৯৯৫), মিস্টিক রিভার (২০০৩), মিল্ক (২০০৮)-এর মতো কিছু চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় উপহার দিয়েছেন তিনি। ‘মিল্ক’-এ অভিনয়ের জন্য ২০০৯ অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন পেন।
তবে অভিনেতা পরিচয়ের বাইরে পেনের আরও একটি পরিচয় আছে। জনকল্যাণমূলক কাজেও আছে তাঁর সক্রিয় পদচারণা। শন পেনের এ ভূমিকা নিয়েই পরিচালক ডন হারডি নির্মাণ করেছেন ডকুমেন্টারি ‘সিটিজেন পেন’।
অন্য অনেক সেলিব্রিটির সচেতনতামূলক বক্তব্য দিয়ে বসে নেই পেন। হলিউডের ‘ফান্ডরেইজার’ সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে, নিজের শ্রম আর পকেটের টাকা খরচ করে একেবারে মাঠপর্যায়ে মানবসেবায় নেমেছেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি এক ফান্ডরেইজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের ভর্ৎসনাও করেন। আর তাঁর গড়া অলাভজনক সংগঠন ‘কমিউনিটি অরগানাইজড রিলিফ এফোর্ট (কোর)’ আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছে।
‘সিটিজেন পেন’-এ আছে ২০১০ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাইতিতে পেন-এর উদ্যোগের ফুটেজের পাশাপাশি তার সাক্ষাৎকার। ২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অর্লিয়েন্সে প্যারাশ্যুটে চড়ে নেমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে তাঁকে। এমন সহমর্মিতার জন্য ২০১২ সালের নোবেল বিজয়ীরা তাঁকে বিশেষ সম্মাননা দেন।
ডকুমেন্টারির ক্রেডিট সিকোয়েন্সে গুরুত্ব পেয়েছে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও টিকাদান প্রক্রিয়ায় ‘কোর’-এর ভূমিকা।
৬ মে ডিসকভারি প্লাসে মুক্তি পেয়েছে ‘সিটিজেন পেন’। রিভিউ ওয়েবসাইট রটেন টমেটোজে শতভাগ টমেটোমিটার রেটিং অর্জন করেছে এ ডকুমেন্টারিটি।