করোনায় মারা গেলেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন এই কবি। গায়ে জ্বর অনুভব হলে গত সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করান। ১৪ই এপ্রিল আসা সেই রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও মঙ্গলবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরদিন সকালে(বুধবার) প্রয়াত হন শঙ্খ ঘোষ।
কবির মৃত্যুতে শোকাভিভূত সাহিত্যমহল থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র প্রাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরাও। হিন্দুস্তান টাইমস এর তথ্য অনুযায়ী, বিশিষ্ট সাহিত্যক সমরেশ মজুমদার বলেন, জীবিতকালে উনি নীরবে থাকলেও হৃদয়ে থাকতেন সবসময়। আজ যখন চলে গেলেন তাও গেলেন নীরবে। এছাড়াও তিনি বলেন, শঙ্খ ঘোষের কবিতা তাঁর কাছে শুধুমাত্রই ব্যক্তিগত তা আবৃত্তি কিংবা পাঠ করার জন্য নয়। খুব তেষ্টা পেলে একগ্লাস জল খেলে যেমন অনুভূতি হয়, কবির সৃষ্টি সেইসব কবিতা পড়ে তাঁর সেই একই অনুভূতি হয়।
বিখ্যাত লেখক বুদ্ধদেব জানতেন না শঙ্খ বাবুর মৃত্যুর কথা। জানতে পেরে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, ‘একটি যুগ অবসান হলো। এই ঘটনা বাংলা সাহিত্যে মহীরুহ পতনের মতো। বাংলা কাব্য জগতে শঙ্খদা শেষ প্রতিষ্ঠান ছিলেন’। আরও বলেন, বরাবরই নীরব থাকতে পছন্দ করতেন তিনি।
এ মুহুর্তে বাংলা সাহিত্যে অন্যতম কিংবদন্তি সাহিত্যিক র্শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জানালেন তাঁর কাছে শঙ্খ ঘোষ শুধুই একজন বিরাট কবি ছিলেন না। তাঁর কাছে মানুষ শঙ্খ ঘোষও একটু অদ্ভুত ছিলেন। সাধারণ চোখে যাকে বিচার করা অসম্ভব। কবির সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানালেন, ‘দীর্ঘদিন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। জানতে পেরে পুরষ্কারের পাঁচ লক্ষ টাকা তাদের দিয়ে দিয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষ। এমনই মানুষ ছিলেন তিনি।’