সালমান শাহর শুরু টেলিভিশন দিয়ে

সালমান শাহ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সালমান শাহ। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচিত্রে পা রাখেন এবং নিজের একটি জায়গা তৈরি করে নেন। মাত্র চার বছরের অভিনয় জীবনে তৈরি করেছিলেন অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। তার এতো জনপ্রিয়তা আর কোনো নায়কের ভাগ্যে জুটেছে কিনা সন্দেহ।

বেসরকারি টেলিভিশনচ্যানেল সময় বলছে, সালমানের অভিনয় জীবনের শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটক দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে ‘দেয়াল’ (১৯৮৫), ‘সব পাখি ঘরে ফিরে’ (১৯৮৫), ‘সৈকতে সারস’ (১৯৮৮), ‘নয়ন’ (১৯৯৫) ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১৯৯৬) নাটকে অভিনয় করেন। ‘নয়ন’ নাটকটি সে বছরের শ্রেষ্ঠ একক নাটক হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছিল।

এছাড়া, ১৯৯০ সালে কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘পাথর সময়’ ও ১৯৯৪ সালে ‘ইতিকথা’ ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করেন সালমান শাহ্।

উল্লেখ্য, সালমান শাহ সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং সব কটিই ছিল ব্যবসা সফল। সালমান শাহ্ তার অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে ‘স্বপ্নের পৃথিবী তোমাকে চাই’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘জীবনসংসার’, ‘সত্যের মৃত্যু নাই’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’সহ জনপ্রিয় সিনেমা রেখে গেছেন। ১৯৮৭ সালে আলমগীর কবিরের অসমাপ্ত সিনেমা ‘হাঙর নদী’তে প্রথম কিশোর বয়সী সালমান (শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন) অভিনয় করেছিলেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের সুপারস্টার সালমান শাহ্ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ঢাকার ইস্কাটনে তার নিজ বাসভবনে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার দেহ। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার পরিবারের সদস্যরা এটিকে হত্যা বলে আসছেন।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন