‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। আর চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়েছেন জাস্টিন নারায়ণ। প্রথম রানার-আপ হয়েছেন পিট ক্যাম্পবেল। আজ ১৩ জুলাই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের এই তৃতীয় সিজনে কিশোয়ার প্রথমে গ্র্যান্ড ফাইনালিস্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নে। তার বাবা কামরুল চৌধুরী মেলবর্নে বাঙালি কমিউনিটির নেতা। কিশোয়ার প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব আর্টস থেকে তিনি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি জার্মানিতেও কিছুদিন কাটিয়েছেন। তারপর ছয় বছরের মতো বাংলাদেশে থেকে ব্যবসা করেছেন। তার স্বামী এহতেশাম। তাদের এক ছেলে, এক মেয়ে।
বাঙালি রেসিপির আধুনিক উপস্থাপন দিয়েই তিনি ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’ মাত করেছেন। প্রতিযোগিতার বিচারক মেলিসা লিয়ং কিশোয়ার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘কিশোয়ার এই প্রতিযোগিতায় এসেছেন বাঙালি খাবারকে সম্মানিত করতে। অস্ট্রেলিয়া এবং সারা বিশ্বের দর্শকের সামনে তিনি বাঙালি খাবারকে তুলে ধরেছেন।’
তিনি আন্তর্জাতিক বিচারকদের মন জয় করেছেন খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা, আলু ভর্তা, মাছভাজা, কুলফি ইত্যাদি খাবারের সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে তিনি পরিবেশন করেন পান্তা ভাত, সঙ্গে আলু ভর্তা, মাছভাজা ও পোড়া মরিচ। কিশোয়ার ইচ্ছে বাংলাদেশের স্বাদ ও খাবার নিয়ে একটি বই করবেন।
অনুষ্ঠানটি চ্যানেল ১০ (টেন)-এ সম্প্রচারিত হয়েছে। ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ‘ডিজনি+হটস্টার’ প্রিমিয়ামেও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে।
(তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে)