পাইরেসির আশঙ্কায় মেলবোর্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বাতিল হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট মেলবোর্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রেক্ষাগৃহ ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রের দুটি প্রদর্শনী হওয়ার কথা ছিল। প্রযোজক সংস্থার সিদ্ধান্তে স্ট্রিমিং প্রদর্শনীটি বাতিল করা হয়। ২১ আগস্ট নির্ধারিত আরও একটি স্ট্রিমিং প্রদর্শনীর বাতিল করা হতে পারে বলে জানান নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু।
তিনি বলেন, “আমাদের সিনেমাটি শুধু কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এরপরে এশিয়া প্যাসিফিক শাখায় সম্প্রতি সিনেমাটি মেলবোর্ন উৎসবের স্ট্রিমিং সাইটে দেখানো হয়। এমনও হতে পারে, অনলাইনে সিনেমাটি দেখে কেউ কপি করে ছড়িয়ে দিয়েছেন। অবৈধ কাজটি যাঁরাই করুন না কেন, আমরা ডিবিতে মামলা করেছি। আশা করছি প্রকৃত অপরাধীর বিচার হবে। আমরাও সিনেমাটি দর্শকদের সামনে আনতে পারব।“
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ পাইরেটেড হওয়ায় চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্রনির্মাতা, লেখক ও সংগঠক বেলায়েত হোসেন লেখেন, “দেশের একটি চলচ্চিত্র দুনিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনল, এটি একটি স্বাধীন চলচ্চিত্র, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছবিটি পাইরেসি হয়ে গেছে, তাই বলে আপনি হামলে পড়ে পাইরেটেড কপিটি দেখবেন, বন্ধুদের দেখতে আমন্ত্রণ জানাবেন, ফেসবুকে “ওয়াচিং” দিয়ে ছবিটির নাম লিখে আরও বহুলোককে উসকে দেবেন? এতটা নৈতিকতাবোধশূন্য কী করে হন বলেন তো! এটা যে একটি ভয়ংকর ক্রাইম, সে খেয়ালও থাকবে না?… নিজের দেশের সিরিয়াস কাজগুলোকে নিজেরা সম্মান দিতে না পারলে এই দেশ ভালো কাজশূন্যই রয়ে যাবে। গুণ ও গুণীর কদর করাটা কেবল মুখের কথা নয়। ওটা আচরণে ও বিশ্বাসে প্রতিফলিত হওয়ার দরকার আছে।“
বাংলাদেশের প্রথম কোনো সিনেমা হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্তে রিগা শাখায় মনোনয়ন পায় ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই গত ১৬ আগস্ট চলচ্চিত্রটি পাইরেসি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।