মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রডওয়েতে ১৯৫৭ সালে কালজয়ী মিউজ়িক্যাল ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ মঞ্চস্থ হয়। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটিশ সাহিত্যিক উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের অনুপ্রেরণায় মিউজিক্যালটি লিখেছিলেন আরথার লরেন্টস, আর পরিচালনা করেছিলেন জেরোমি রবিনস। পঞ্চাশের দশকের প্রেক্ষাপটে এই গল্পে আপার ওয়েস্ট সাইড এলাকায় ভিন্ন জাতিসত্ত্বার দুই স্ট্রিট গ্যাং ‘দ্য শার্ক’ ও ‘দ্য জেটস’ মুখোমুখি হয়। আর এরই মাঝে প্রতিপক্ষ দুই তরুণ-তরুণী নিউইয়র্ক শহরকে ভালোবেসে ফেলে। এই মিউজিক্যাল অবলম্বনে নির্মিত একই নামের রোমান্টিক ড্রামা চলচ্চিত্র ৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে।
তবে নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গের স্বপ্নের চলচ্চিত্র ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তি পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম হলিউড রিপোর্টার। নতুন সংস্করণে ট্রান্সজেন্ডার চরিত্র যোগ করায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সৌদি আরব ও কুয়েতে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাকি দেশগুলোর সেন্সর বোর্ড কিছু দৃশ্য বাদ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজনি তাতে রাজি হয়নি।
এর আগে গত মাসে মারভেল স্টুডিওজের ‘ইটারনালস’ চলচ্চিত্রের মুক্তিও একই রকমভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আটকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় সেন্সরের চোখে আপত্তিকর দৃশ্যগুলো বাদ দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।
‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ চলচ্চিত্রে ‘মারিয়া’ চরিত্রে রেচেল জ়েলগার এবং ‘টোনি’ চরিত্রে অ্যানসেল এলগর্ট অভিনয় করেছেন। এতে আরও আছেন আরিয়ানা ডিবোস, ডেভিড আলভারেজ, মাইক ফাইস্ট ও রিটা মরেনো। চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা অতিমারির কারণে তা আটকে যায়।