বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মঈনুল আহসান নোবেলকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল।
গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর সালসাবিল গণমাধ্যমকে জানান, ১১ সেপ্টেম্বর এই তালাকনামা নোবেলের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। তার অভিযোগ, ‘‘নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ, চরম মাদকাসক্ত, নারীনেশাসহ আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত; সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর নোবেলকে বিয়ে করেন সালসাবিল। তিনি বলেন, “বিয়ের ৬ মাসের মাথায় জটিলতা তৈরি হয়। মূলত মাদক নেওয়া ও অন্য নারীর সঙ্গে মেলামেশায় বাধা দিতে গেলেই আমাকে মারধর করত ও। মারধরের বিষয়টি একটা সময় আমার পরিবারও জানতে পারে। এরই মধ্যে গত বছরের একটা সময় ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোবেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় গত বছরের জুলাইয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। নোবেল আমাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টাও করে। এরপর ভাবলাম, এভাবে তো জীবন চলতে পারে না। তাই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই তালাকের সিদ্ধান্ত নিই।’’
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ডিভোর্সড’ লিখে পোস্ট করে এই বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন নোবেলও। তবে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অন্য সেলিব্রিটিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ আনেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে প্রায়ই বিতর্কিত কাজকর্ম এবং মন্তব্য করে আলোচনায় থাকছেন নোবেল। এর আগে গত ২৮ জুন তিনি ফেসবুকে জানান, সালসাবিল অন্তঃসত্ত্বা। জবাবে ক্ষুব্ধ সালসাবিল ফেসবুক লাইভে এসে জানান, নোবেলের মিথ্যা বলছেন, আর তারা দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছেন। এরপর নোবেল স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাগত সন্তান হত্যার অভিযোগ তোলেন। এর কিছুদিন পর বান্দরবানে নোবেলকে নেশাগ্রস্ত ও অপ্রীতিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। এমনকি স্থানীয় মানুষ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।