‘পাপ–পুণ্য’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে চান নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। এছাড়াও চরকি প্রযোজিত নতুন চলচ্চিত্র ‘গুনিন’-এর শ্যুটিং শুরু করবেন তিনি।
টেলিভিশন নাটকের নন্দিত পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মনপুরা’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দীর্ঘ বিরতির পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’ দিয়েও সাফল্যের স্বাদ পান তিনি।
এ দুটি চলচ্চিত্রে সহজ প্রেমের গল্পের আড়ালে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বাংলার চিরায়ত রূপ, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষমতাশালী ও নিপীড়িত মানুষের দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘পাপ-পূণ্য’-এর গল্প প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত জানাতে অবশ্য নারাজ তিনি। তাঁর ভাষায়, “মানুষের মৌলিক তাড়নাকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি নতুন মোড়কে। আগে যে দুই ছবি বানিয়েছি, এই ছবি সেগুলো থেকে আলাদা হবে।“
করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার আগেই গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘পাপ–পুণ্য’-এর শ্যুটিং শেষ করেন। এরই মধ্যে সেন্সর ছাড়পত্রও পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। ‘মনপুরা’-র পর এবার ‘পাপ–পুণ্য’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রযোজনায় আছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।
সেলিম বলেন, “শুরুতে সিনেমাটি আমরা দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে দেখাতে চাই। শুরু থেকে প্রযোজকেরও সেই পরিকল্পনা। তাই সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েও অপেক্ষা করছি। শিগগির যদি প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেওয়া হয়, সুবিধাজনক একটা সময় দেখে ছবিটি মুক্তির আয়োজন করব।“
পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘গুনিন’-এর কাজ শুরু করতে লকডাউন শিথিল হওয়ার অপেক্ষায় আছেন সেলিম। এরপরই চলচ্চিত্রের লোকেশন খুঁজতে ইউনিট নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন তিনি।