ট্রেলার মুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই আইনি জটিলতায় পড়লো নেটফ্লিক্স অরিজিনাল ডকুসিরিজ ‘টাইগার কিং টু’। সিরিজটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাঘ-সিংহজাতীয় প্রাণির একটি অভয়াশ্রমের মালিক ক্যারল ব্যাস্কিন। এই সিরিজের প্রথম সিজনে তাকে দেখা গিয়েছিলো।
গতকাল ১ নভেম্বর নেটফ্লিক্স এবং ‘টাইগার কিং’ সিরিজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রয়াল গুড প্রোডাকশনসের বিরুদ্ধে ফ্লোরিডা আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ব্যাস্কিন। সেইসঙ্গে তার কোনো ফুটেজ ‘টাইগার কিং টু’-এর প্রচারণায় ব্যবহার নিষিদ্ধ করারও আবেদন জানান তিনি।
ক্যারল ও তার স্বামী হাওয়ার্ডের আইনজীবীর বরাতে হলিউডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য হলিউড রিপোর্টার জানায়, বিড়ালজাতীয় বড় প্রাণির অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা বলে তাদের পরিচালিত অভয়াশ্রম ‘বিগ ক্যাটস রেস্কিউ স্যাংকচুয়ারি’তে শুটিং করা হয়। কিন্তু তাদের না জানিয়েই পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয় এই ডকুসিরিজ। এমনকি এসব প্রাণি রক্ষায় বরাবর দৃঢ় অবস্থান নেয়া ক্যারলকে এখানে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
আর রোডসাইড চিড়িয়াখানার মালিক জো এক্সোটিক এই ডকুসিরিজের নায়ক, যিনি কিনা অবৈধ বাঘ ব্যবসা, ক্যারলকে হত্যাচেষ্টা এবং বাঘ হত্যার দায়ে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও ক্যারল তার স্বামীকে হত্যার পর তার লাশ অভয়াশ্রমের প্রাণিদের খেতে দেন – এই সিরিজে এমন ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে এই দম্পতি অভিযোগ করেন। জানান, মহামারির সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সিরিজের জন্য তারা দর্শকদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন এবং ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের অনুমতি না নিয়েই অভয়াশ্রমে বাড়তি শুটিং করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, টাইগার কিং ওয়ান সিরিজের পর মিটমাট করে নেয়ার কথা বলে আবারও এই দম্পতিকে নিয়ে শুটিংয়ের চেষ্টা করে রয়াল গুড। তাতে তারা রাজি না হলেও ২৭ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ট্রেলারে তাদের ফুটেজ ব্যবহার করা হয়। অথচ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কোনো সিকুয়েল বা রিমেকের চুক্তি হয়নি। তাই ১৯ নভেম্বরের আগেই আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তারা। ২০ নভেম্বর ‘টাইগার কিং টু’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে।
বাস্কিন জানান, ২০১৪ সালে ‘টাইগার কিং ওয়ান’ ডকুসিরিজ শুটিংয়ের জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পাঁচ বছরে মোট দশ দিন অভয়াশ্রমে শুটিং হয়।