টিকলো না আমির খানের দ্বিতীয় বিয়ে

একসঙ্গে দীর্ঘর দিনের পথচলা। দাম্পত্য ও পেশাজীবন হাত ধরাধরি করে চলেছে একযুগেরও বেশি সময়। তারপরও চেনা বাকি থেকে যায়? তারপরও বোঝাপড়ায় ত্রুটি থেকে যায়? নাহলে ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের যবনিকা টানা কেন? হুম, আলাদা হয়ে যাচ্ছেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান এবং কিরণ রাও। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। শনিবার সকালে এক যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দয়া হলো। কিরণের আগে ১৯৮৬ সালে রীনাকে বিয়ে করেছিলেন আমির। ২০০২-এ সেই ১৬ বছরের সংসারও ভেঙে যায়।

আমির-কিরণ লিখেছেন, ‘এই ১৫ বছরের সুন্দর যাত্রায় আমরা অনেক আনন্দ, উচ্ছ্বাস, অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ভরসা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা দিয়ে আমাদের সম্পর্কের বিকশ হয়েছে। এবার আমরা জীবনের নতুন একটা অধ্যায় শুরু করতে চলেছি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নয়, আমাদের সন্তানের মা-বাবা এবং একই পরিবারের সদস্য হিসেবে।’

বিবৃতির স্ক্রিনশট

আরো জানিয়েছেন, ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত তারা হুট করে নেননি। অনেকদিন থেকেই নাকি তারা আলাদা থাকছিলেন। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখেই তো তারা ঘটা করে নিজেদের বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন! সেসময় সেই অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও দিয়ে নেট দুনিয়া সয়লাবও হলো।

অনেকেকেই বিবৃতির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তাদের একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোচক, বিশ্লেষক ও সাংবাদিক তরণ আদর্শ। বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছুই নেই। বিবৃতি বলছে, বিচ্ছেদ হলেও আমির-কিরণ পরিবারের সদস্য হয়েই থাকবেন। পরিবারের সদস্য হিসেবে যদি থাকাই হবে তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের কি প্রয়োজন হলো তাও স্পষ্ট করা হয়নি।

কিরণ, আমির ও আজাদ

লগান সিনেমার করার সময় আমির-কিরণের পরিচয় হয়েছিল। ২০০৫-এর তারা বিয়ে করেন। ২০১১ সালে সারোগেসির পদ্ধতিতে আজাদের জন্ম হয়। কিরণের আগে রীনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির খান। আমিরের প্রথম সংসারের দুই সন্তান  জুনেইদ ও ইরা।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন