কারিশমা-কারিনার মা ববিতা থাকতেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায়। দুই মেয়ে নিয়ে সংসার। ছোটখাটো ব্যবসা করে কোনো রকম সংসার চালাতেন। অনেকেই মনে করতেন, কাপুর পরিবারের মেয়ে বলে হয়তো সুবিধাভোগী শ্রেণির অংশ ছিলেন কারিনা। কিন্তু সে কথা উড়িয়ে দেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে কারিনা কাপুর বলেছিলেন, অর্থকষ্টে বড় হয়েছেন তারা। এ-ও বলেন, তাদের একটিমাত্র গাড়ি ছিল, কিন্তু টাকার অভাবে চালক রাখতে পারেননি। বি-টাউনবাসীর সবাই জানেন, অল্প বয়সে সিনেমায় কাজ শুরু করেন কারিশমা কাপুর। আর পরে কারিশমার কল্যাণেই ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে সচ্ছল হন তারা।
২০১১ সালে কারিনা কাপুরের কাছে হিন্দুস্তান টাইমস প্রশ্ন করছিল, চাচাতো ভাই রণবীর কাপুর যেমন সুবিধা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন, তার বেড়ে ওঠাও কি তেমন ছিল? কারিনা তখন বলেছিলেন, লোকে কাপুর বংশকে নিয়ে যেভাবে চিন্তা করে, আদতে তারা সেভাবে বেড়ে ওঠেননি। তিনি আরো যুক্ত করেন, ‘মা (ববিতা) ও বোন (কারিশমা) আমার উন্নত জীবনের জন্য সত্যিই সংগ্রাম করেছেন। বিশেষ করে আমার মা। কারণ, তিনি সিঙ্গেল প্যারেন্ট ছিলেন। সবকিছুই আমাদের জন্য খুব সীমিত ছিল।’
কারিনা আরো জানান, আর দশটা মানুষের মতো বোন কারিশমাও গণপরিবহণে চলতেন। কারিশমা লোকাল ট্রেনে করে কলেজে যাতায়াত করতেন। আর অন্যদের মতো কারিনা স্কুলবাসে চড়তেন। একটি গাড়ি ছিল তাদের, কিন্তু ড্রাইভার রাখার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। মায়ের জন্যই আজ তারা এ পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। আর সেই কষ্টভরা দিনগুলোই তাদের আরও উদ্যম বাড়িয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার জন্য আজ দৃঢ়চেতা কারিনা।
অবশ্য অনেক পরে দুই সন্তানের কথা ভেবে ববিতা ও রণধীর কাপুর পুনরায় মিলিত হন। তবে অতীতকে ভোলেননি বলিউডের বেবো।