নুসরাত জাহানের অন্তঃসত্ত্বার খবর অনেকেই জানে। তবে অজানা রয়েছে আগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়। ভারতে সিঙ্গেল মাদার হওয়া আইনত বৈধ। কোনো মহিলা সন্তানের জন্মপত্র বের করতে চাইলে, বাবার নাম সেখানে না দিলেও চলবে।
২৫ জুলাই (রবিবার) সন্ধ্যায় পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে ‘সুবিধা’ গর্ভনিরোধক ওষুধের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে ছিলেন তিনি। সেখানে গর্ভনিরোধক ওষুধ সংক্রান্ত নানা আলাপ আলোচনার মাঝে নুসতের মুখে বারবার শোনা যায় মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা। সমাজে পুরুষ আর নারীর মধ্যে এখনো যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, এখনো যে নারীরা তাদের মনের কথা খোলাখুলি বলতে পারে না সমাজের ভয়ে, সে ব্যাপারেই কথা বলতে শোনা যায় অভিনেত্রী-সাংসদকে।
নুসরাত তার সন্তান প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার মেয়ে হলে তাকে শেখাব যাতে কারো কাছে কখনো মাথা নত না করে’। অবশ্য পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘ছেলে হলেও এটাই শেখাব। একজন মানুষ হিসেবে নিজের শর্তে বাঁচা খুব জরুরি। সমাজ কি বলল বা কি ভাবল তার ভয়ে নয়। সবার আগে তাই নিজেকে ভালোবাসতে হবে।’
এখন তিনি কেমন আছেন সে প্রসঙ্গে জানান, ‘সবার আগে নিজের শরীরের খেয়াল রাখছি। নিজে সবসময় খুশি আর পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছি। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন আমি খুব পজিটিভ একটা মানুষ। নিজের মতো করে ভালো থাকতে ভালোবাসি। আর এখন সেটাই করছি। কাজ যা হচ্ছে, তার বেশিরভাগটাই তো অনলাইনে। তার মাঝে অবশ্য কিছু বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করেছি, ফটোশ্যুট করেছি।’
আর তাকে নিয়ে চলা ট্রোলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, ‘বহুদিন আগেই সেসব পাত্তা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আসলে পাবলিক ফিগার হলেই তো লোকে ভাবে একে নিয়ে যা ইচ্ছে বলা যায়! বেশিরভাগই ফেক অ্যাকাউন্ট। কি হবে সেসব ভেবে!’