২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আয়রন ম্যান টু’ চলচ্চিত্রে ‘ব্ল্যাক উইডো’ চরিত্র দিয়ে মারভেল স্টুডিওজের সঙ্গে হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনের যাত্রা শুরু। এরপর একে একে ‘অ্যাভেঞ্জারস’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সবকয়টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। এই বছরের জুলাইয়ে ‘ব্ল্যাক উইডো’ চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে তিনি মারভেল স্টুডিওজের মালিক ডিজনির বিরুদ্ধে মামলা করে বসেন। চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহের বদলে শুধু স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাসে মুক্তি দেয়ায় বিপুল পরিমাণ আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন স্কারলেট। সেপ্টেম্বরে অবশ্য আদালতের বাইরেই পুরো ব্যাপারটা মিটে যায়।
তিক্তমধুর এই পুরোনো সম্পর্কের পাশাপাশি স্কারলেটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছে মারভেল স্টুডিওজ। স্টুডিওটির প্রেসিডেন্ট কেভিন ফাইগি গত ১৮ নভেম্বর বেভারলি হিলটন হোটেলে আমেরিকান সিনেমাথেক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জানান, মারভেলের গোপন একটি প্রকল্পে প্রযোজক হিসেবে ফিরেছেন স্কারলেট।
এর আগে ‘ব্ল্যাক উইডো’ চলচ্চিত্রে নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেছেন স্কারলেট। কেভিন ফাইগির বরাতে ডিজিটাল মিডিয়াভিত্তিক ওয়েবসাইট আইজিএন জানায়, এর মাধ্যমে তিনি প্রথম অভিনয়শিল্পী মারভেল স্টুডিওজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। কেভিন বলেন, “আমাদের প্রথম দিকের মিটিংগুলো থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় যে এই চলচ্চিত্রে কীভাবে গল্প বলা হবে, তা নিয়ে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো।’’
স্কারলেটকে এই সময়ের সবচেয়ে মেধাবী, বহুমুখী দক্ষতাসম্পন্ন একজন প্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে কেভিন আরও বলেন, “‘আয়রনম্যান টু’ চলচ্চিত্রে হলওয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য মহাকাব্যিক ট্রেনিং সেশন থেকে শুরু করে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’–এর জন্য বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভ্রমণ, আর তা হয়ে ‘ব্ল্যাক উইডো’ চলচ্চিত্রে প্রযোজক হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করা সত্যিই আনন্দের। স্কারলেট, আপনার সঙ্গে কাজ করা সত্যিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’