গত ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তিন বছর পূর্ণ হলো। ২০১৮ সালের এই দুঃখজনক ঘটনাকে সেলুলয়েডে তুলে ধরতে বলিউডে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ। এর মধ্যে আছে জনপ্রিয় নির্মাতা রাম গোপাল ভার্মার পরিচালনায় নানা পাটেকার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘দ্য অ্যাটাক অফ ২৬/১১’ (২০১৩), এবং ম্যাথিউ লিউটওয়াইলার ও প্রশান্ত সিংয়ের জিফাইভ সিরিজ ‘সিজ ২৬/১১’।
আর ২০১৮ সালে হলিউডে মুক্তি পায় দেব প্যাটেল ও অনুপম খের অভিনীত চলচ্চিত্র ‘হোটেল মুম্বাই’।
মুম্বাই হামলা নিয়ে সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে নিখিল আদভানির বলিউড সিরিজ ‘মুম্বাই ডায়রিজ ২৬/১১’। এতে হামলার সময়কার ঘটনাপ্রবাহ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের চোখে দেখানো হয়েছে। আদভানি বলেন, “(সিরিজে) আমাদের দেয়া প্রতিটি তথ্যই সেমি ফিকশনাল। মানুষ এতে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে বিষয়ে আমাদের বাড়তি সতর্ক হতে হয়েছে। একাধিক উৎস থেকে বারবার তথ্যগুলো যাচাই করে নেয়ার পাশাপাশি আমাদের এ-ও মাথায় রাখতে হয়েছে, যাতে পর্দায় দেখানোর সময় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের মনে আঘাত দেয়া না হয়।”
‘মুম্বাই ডায়রিজ ২৬/১১’ সিরিজের কলাকুশলীদের কারো কারো এই হামলার সরাসরি অভিজ্ঞতা আছে। যেমন চলচ্চিত্রে শিক্ষানবিশ ডাক্তার চরিত্রের অভিনেত্রী নাতাশা ভরদ্বাজ এবং সাংবাদিক চরিত্রের শ্রেয়া ধন্বান্তরি। নাতাশার মা বাস্তবে এই হামলায় আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, আর শ্রেয়ার বাবার সেদিন তাজ মহল প্যালেসে থাকার কথা ছিলো। শুটিংয়ে বাস্তবতাকে আরও ফুটিয়ে তুলতে তাদের এই অভিজ্ঞতা কাজে এসেছে বলে জানান দুই অভিনেত্রী।
‘সিজ ২৬/১১’ সিরিজে এক এনএসজি কমান্ডোর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা অর্জুন বাজওয়ান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনিও। সেদিন এক বন্ধুর কাছে বাইরে ‘গোলাগুলির’ খবর পেয়ে তিনি বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন। পরে এই হামলার খবর জানতে পারেন।
সত্যিকারের এক চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো বলে জানান অর্জুন। বলেন, “বাস্তবে জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়েছেন এমন এনএসজি কমান্ডোর দৃষ্টিভঙ্গিতে এই প্রথম কোনো সিরিজ বা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তিনি বাস্তবে গোটা অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এনএসজি কীভাবে কাজ করে তা থেকে শুরু করে সব আমি আগেই জেনে নিয়েছি। পাশাপাশি এই বিষয়টি যে সংবেদনশীল তা-ও মাথায় ছিলো।”