১৯২৯ সালে নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘হ্যালেলুইয়াহ!’তে লাস্যময়ী এক নারীর চরিত্র দিয়ে নিজের অভিনয় জীবনের শুরুটা স্মরণীয় করে রাখেন হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী নিনা মে ম্যাককিনি। এর নয় দশক পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফোরাম-এ ম্যাককিনির চলচ্চিত্র পর্যালোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
ত্রিশের দশক থেকে প্রায় দুই যুগ বড় পর্দায় নিজ প্রতিবার স্বাক্ষর রেখে যাওয়া ম্যাককিনিকে হলিউডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী তারকা বলে মনে করা হয়। অনুষ্ঠানে তার অভিনীত প্রায় ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে পাঁচটি এবং দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য দেখানো হবে। ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র ছিলো শুধু কৃষ্ণাঙ্গ কুশিলব নিয়ে কিং ভিডর নির্মিত মিউজিকাল ‘হ্যালেলুইয়াহ!’ । নির্বাচিত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে উইলিয়াম এ ওয়েলম্যানের থ্রিলার ‘সেইফ ইন হেল’ (১৯৩১), পল রোবসনের সঙ্গে ‘স্যান্ডার্স অফ দ্য রিভার’ (১৯৩৫), আর ম্যাককিনি অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র – এলাইয়া ক্যাজানের ‘পিংকি’ (১৯৪৯)। ‘পাই পাই ব্ল্যাকবার্ড’ (১৯৩২) আর ‘ব্ল্যাক নেটওয়ার্ক’ (১৯৩৬) তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
ব্রডওয়ে এবং হারলেমের ক্লাবগুলোয় ম্যাককিনির অভিনয়জীবন শুরু হয়। আবেদনময়ী ও সুকণ্ঠী এই শিল্পী ১৭ বছর বয়সেই এমজিএমের নজরে পড়েন, আর দীর্ঘমেয়াদি এক চুক্তিতে সই করেন। তখন হলিউডে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের উপস্থিতি বলতে গেলে ছিলোই না। ম্যাককিনির পথ ধরেই আরো দুই গ্ল্যামারাস কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী লিনা হর্ন এবং ডরোথি ড্যানড্রিজের উত্থান হয়।
১৯৬৭ সালে ৫৪ বছর বয়সে ম্যাককিনি মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটে তার পরিচয় দেয়া হয় ‘বিধবা’, ‘গৃহকর্মী’ হিসেবে। এমন সব বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ক্যারিয়ারের শুরু থেকে লড়াই করে আসা এই যোদ্ধা এত বছর পর হলেও স্বীকৃতি পাচ্ছেন। তার বর্ণিল ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে গিয়ে কালের অতলে হারিয়ে যাওয়া সমসাময়িক কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পীদের অবদান সম্পর্কে ধারণা পাবেন দর্শকেরা।