এক সময়কার রেসলার ‘দ্য রক’ ডোয়াইন জনসন হলিউডে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। রেসলিংজীবনে ভারতের প্রতি তার আকর্ষণ ছিলো, আর এখন তা বরং আরও বেড়েছে। ২০১৭ সালে ‘বেওয়াচ’ চলচ্চিত্রে তিনি ভারতীয় তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে কাজ করেন। তখনই তার বলিউডপ্রীতির কথা জানা যায়।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি বলেন, “বলিউডে কাজ করতে আমার ভালোই লাগবে। এটা আমি আগেও বলেছি। আমি তো সেই পথ খুঁজছি। আমার মনে হয়েছে, হলিউড ও বলিউডের মধ্যে যোগসূত্র তৈরির একটা মাধ্যম দরকার। বিশেষ করে যখন কেবল প্রেক্ষাগৃহই নয়, অনলাইনেও প্রচুর চলচ্চিত্র মুক্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এগুলোর একটা সমন্বয় থাকা দরকার।’’
জনসন জানান, রেসলিং করার সময় থেকেই তার ভারত যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বারবারই তা ভেস্তে যায়। তিনি বলেন, “আমার বন্ধু আন্ডারটেকার ও স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিন ভারত ঘুরে গিয়ে আমাকে বললো, ‘ভারতে তোমার যেতেই হবে। আমাদের খুব ভালো লেগেছে, আর সেখানে আমাদের ভক্তেরও অভাব নেই।’”
জনসন অভিনীত ‘রেড নোটিশ’ আগামী ১২ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন ইজরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদত এবং মার্কিন তারকা রায়ান রেনল্ডস।
আরেক হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মনে করেন, ভারতের সঙ্গে তার নিজের ‘বিশেষ’ এক সম্পর্ক আছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “জনবহুল এই দেশটি খুবই মানবিক। ওখানকার রাস্তাঘাট, ট্রেন বা প্রাকৃতিক পরিবেশ, সবই আপন মনে হয়।’’
৪৬ বছর বয়সী জোলি ২০০৬ সালে ‘আ মাইটি হার্ট’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে প্রথম ভারতে গিয়েছিলেন। অস্কারজয়ী এ অভিনেত্রী ভারতে কখনোই নিজেকে বহিরাগত মনে করেননি। তিনি বলেন, “এখানে আমি মানবতাবোধ, এর শক্তি ও তীব্রতা অনুভব করেছি। শীঘ্রই আবার ভারতে যেতে চাই।” বলিউডে কাজ করার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জোলি বলেন, “আমি জানি না বলিউডে কতোটা ভালো করতে পারবো। কিন্তু আমি সেখানকার অভিনয় উপভোগ করি।’’
ভারত ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জোলি আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করার কথা মনে করেন। তিনি গত দুই দশক ধরে মানবকল্যাণমূলক নানা উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি জোলি মারভেল স্টুডিওজের সুপারহিরো চলচ্চিত্র ‘ইটারনালস’-এ অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে আরও আছেন ভারতীয় অভিনেতা হারিশ প্যাটেল।