১৯৭৯ সালে পূর্ব জার্মানির গথায় স্ক্লস ফ্রিডেনস্টেইন জাদুঘর থেকে পাঁচটি ছবি চুরি হয়। অবশেষে গত সেপ্টেম্বরে ছবিগুলো উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া গেছে এক বৃদ্ধের পোট্রেইট, যা সপ্তদশ শতাব্দীর ডাচ শিল্পী রেমব্র্যান্টের শিল্পকর্ম হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা।
শিল্প ও সাহিত্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আর্টনিউজ জানায়, এই ছবিটি ১৬২৯ থেকে ১৬৩২ সালের মধ্যে আঁকা। উদ্ধার হওয়া পাঁচটি শিল্পকর্মের মধ্যে এর অবস্থাই সবচেয়ে সঙ্গিন। চুরির সময় ছবিটিতে গভীর কয়েকটি দাগ পড়েছে। যথাসম্ভব আদি অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পর এখন প্রদর্শনীতে ফেরত আসছে পাঁচটি ছবিই। প্রদর্শনীর নাম – ‘ব্যাক ইন গথা! দ্য লস্ট ম্যাস্টারপিসেস। আগামী বছরের ২১ আগস্ট প্রদর্শনীটি শুরু হবে।
বছরের পর বছর ধরে অবশ্য ধারণা করা হয়েছে যে এই ছবিটি এঁকেছেন রেমব্র্যান্টের সমসাময়িক জ্যান লিভেনস, নাহয় ছাত্র ফার্ডিনান্ড বল। উদ্ধার হওয়া ছবিটির পেছনে বলের সাক্ষর পাওয়া গেছে। আর হার্ভার্ড আর্ট মিউজিয়ামে রেমব্র্যান্টের স্বাক্ষরযুক্ত একই ছবি সংরক্ষিত আছে। তবে স্ক্লসের কিউরেটর টিমো ট্রাম্পারের মতে, ছবিটিতে বলের স্বাক্ষরের মানে এটি কখনও তার কাছে ছিলো। আর এই ছবিটি যদি আসলেই রেমব্র্যান্টের আঁকা হয়ে থাকে, তবে হার্ভার্ড আর্ট মিউজিয়ামে থাকা ছবিটি হলো স্টুডিও কপি। তিনি বলেন, “(গথার ছবিটির) জন্ম যে রেমব্র্যান্টের স্টুডিওতেই, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারি।
এখন প্রশ্ন হলো, এর কতটুকু রেমব্র্যান্টের, আর কতটুকু তার ছাত্রদের? অনেক সহকর্মীদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে এই বিষয়ে। তাদের অর্ধেক বলছেন ‘এটা রেমব্র্যান্টের না, তার কোনো ছাত্রের’। বাকিরা বলছেন অন্য সম্ভাবনাটিও তারা উড়িয়ে দিতে পারছেন না।’’
এত লম্বা সময় ধরে লাপাত্তা থাকায় এই ছবিটি নিয়ে বিশদ গবেষণা হয়নি।
প্রদর্শনীর ক্যাটালগে সাংবাদিক কনস্ট্যানটিন ফন হ্যামারস্টেইনের লেখা এক প্রবন্ধে বলা হচ্ছে, এক দম্পতির সহায়তায় এই ছবিটি চুরি করেছিলেন রুডি বার্নহার্ট নামের এক পূর্ব জার্মান ট্রেইনচালক। ২০১৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বার্নহার্ট এই অভিযোগ স্বীকার করেননি।