নোবেল কমিটির সভাপতি বেরিত রাইস–আন্দারসন বলেছেন, মুক্ত, স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা এবং যুদ্ধের অপপ্রচার প্রতিহত করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মুক্ত সাংবাদিকতা ছাড়া জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা, নিরস্ত্রীকরণ এবং উন্নত বিশ্ব গড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এবছর শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন দুজন বিশিষ্ট সাংবাদিক— মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভ। নোবেল কমিটি মনে করে, স্বাধীন সাংবাদিকতা সমুন্নত রাখতে এই দুই সাংবাদিকের ভূমিকা রয়েছে।
কমিটি বলেছে, সাংবাদিক হওয়ার মানে কি এবং কিভাবে কঠিন ও ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে হয়—এদুজন তা দেখিয়েছেন।
শুক্রবার লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন কমিটির সভাপতি বেরিত রাইস–আন্দারসন।
ফিলিপিনো নারী সাংবাদিক মারিয়া রেসার জন্ম ১৯৬৩ সালে। প্রায় বিশ বছর সিএনএন-এর হয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল র্যাপলার-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
রুশ সাংবাদিক ও সম্পাদক মুরাতভের জন্ম ১৯৬১ সালে। তিনি নোভায়া গেজেটা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। পত্রিকাটি সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সমালচনামূলক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রাখে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এ পত্রিকার সাত সাংবাদিক খুন হয়েছেন।
নোবেল কমিটির সভাপতি আরো বলেছেন, এই দুই সাংবাদিক সেসব আদর্শবান সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব করছেন যারা সাংবাদিকতায় আদর্শ ধরে রেখেছেন—যখন গণতন্ত্র ও মুক্ত সাংবাদিকতা ক্রমবর্ধমানভাবে প্রতিকূল অবস্থার মুখে পড়ছে।