আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।
রূপালি পর্দার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ আনোয়ার হোসেন ২০১৩ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত অভিনয় জীবনের ৫১ বছরে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুরের সরুলিয়া গ্রামে আনোয়ার হোসেনের জন্ম। স্কুলজীবনে আসকার ইবনে শাইখের ‘পদক্ষেপ’ নাটকে তিনি প্রথমবার অভিনয় করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। পরের বছরই ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। ১৯৬৪ সালের ১ মে তার অভিনীত ‘দুই দিগন্ত’ চলচ্চিত্র দিয়ে ঢাকার নীলক্ষেতে অবস্থিত ‘বলাকা’ প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন হয়।
আনোয়ার হোসেনের অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে আছে — জহির রায়হান পরিচালিত ‘কাঁচের দেয়াল’ ও ‘জীবন থেকে নেয়া’, মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ ও ‘সূর্যস্নান’, কাজী জহির পরিচালিত ‘বন্ধন’, খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, এম এ হামিদ পরিচালিত ‘অপরাজেয়’, সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’, আলমগীর কবির পরিচালিত ‘ধীরে বহে মেঘনা’, আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমনি’ ও ‘ভাত দে’।
১৯৭৫ সালে প্রবর্তিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী আনোয়ার হোসেন। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। ১৯৭৮ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার পান সহ-অভিনেতা হিসেবে। আর সর্বশেষ ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।