আজ ৪ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের ৬৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৪ সালের এই দিনে ঢাকায় সাবিনা ইয়াসমিন জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র সাত বছর বয়সে সঙ্গীত অঙ্গনে তার যাত্রা শুরু হয়। তিনি ১৩ বছর ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে গান শিখেছেন। বেতারের ‘খেলাঘর’ অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণে সঙ্গী হিসেবে পান কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহকে।
১৯৬২ সালে এহতেশামের ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রের গানে শিশুশিল্পী হিসেবে অংশ নেন। ১৯৬৭ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্রে আলতাফ মাহমুদের সুর-সঙ্গীতে ‘মধু জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে সাবিনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর গত পাঁচ দশকে কয়েক হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ভারতের বরেণ্য সুরকার আরডি বর্মণের সুরে গান করেছেন, কিশোর কুমার ও মান্না দের সঙ্গেও করেছেন দ্বৈত গান।
জন্মদিন প্রসঙ্গে সাবিনা বলেন, “জন্মদিন এলেই ভাবি, একজন শিল্পী হিসেবে আমার কোনো অপূর্ণতা নেই। জীবনে কোনো অপূর্ণতা নেই। জীবনে মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি।“
প্লেব্যাকের জন্য ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার এবং ২০১২ সালে ‘বাংলা একাডেমি’ সম্মানসূচক ফেলোশিপ অর্জন করেন তিনি।
‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মা গো’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান’, ‘দুঃখ ভালবেসে প্রেমের খেলা’, ‘এ সুখের নেই কোনো সীমানা’, ‘বরষার প্রথম দিনে’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’ – এমন সব শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে রয়েছে ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও আমার বাংলা মা’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা’।