জননন্দিত লোকশিল্পী আবদুল আলীমের নামে ঢাকার একটি ফ্লাইওভারের নামকরণ করা হবে।
‘আর কত কাল ভাসব আমি’, ‘পরের জায়গা পরের জমি’ সহ জনপ্রিয় সব আধ্যাত্মিক, মরমি ও মুর্শিদি গানের শিল্পী আবদুল আলীমের নামে একটি উড়ালসড়কের নামকরণের আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে সরকার।
আবদুল আলীম কন্যা নূরজাহান আলীম জানান, “বাবার নামে এত বছরেও কোনো কিছুর নাম করা হয়নি। এতকাল পর আমরা খিলগাঁও ফ্লাইওভারটি বাবার নামে করার অনুরোধ জানিয়েছি। সরকারের কাছ থেকে সাড়াও পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই তারা বাবার নামে ফ্লাইওভারটির নামকরণ করবেন।“
নূরজাহান জানান, তার বাবার পাঁচ শতাধিক গানের সাড়ে তিন শ সংগ্রহ করা গেছে। তিনি বলেন, “বাবার অনেক গান আছে করাচি রেডিওতে। অনেক গানের রেকর্ড নষ্ট হতে বসেছে। আমরা সেসব দেশে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রেও সরকারের সহযোগিতা দরকার।“
পেশাগত জীবনে ঢাকা সংগীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আলীম বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিওতে গান করেছেন, ‘মুখ ও মুখোশ’, ‘লালন ফকির’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘যার আপন খবর আপনার হয় না’, ‘নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘হলুদিয়া পাখি’, ‘মেঘনার কূলে ঘর বাঁধিলাম’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘দোল দোল দুলুনি’, ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘কেনবা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়’, ‘কেহ করে বেচাকেনা কেহ কান্দে’, ‘সব সখী রে পার করিতে নেব আনা আনা’ প্রভৃতি তার অবিস্মরণীয় কিছু গান।
৫ সেপ্টেম্বর শিল্পী আবদুল আলীমের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৭ সালে তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন।