প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই পাইরেসির শিকার হয়েছে কান চলচ্চিত্রে মনোনয়ন পাওয়া বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট মানুষেরা।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রের পাইরেসি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু জানান, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা।
তিনি বলেন, “এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, এটার প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সরকার যদি সঠিকভাবে সহযোগিতা করে, আমরা এই অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারব। আর চক্রের বিচার করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি যাদের জন্য ছবিটি বানিয়েছি, সেই দর্শকদের কাছে সুন্দরভাবে নিয়ে যেতে পারব। দেখানোর ব্যবস্থা করতে পারব।“
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রের পাইরেসি প্রসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের আলোচিত নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ বলেন, “খুবই কষ্ট লাগছে, রাগ হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মান বয়ে আনা ফিল্ম ‘রেহানা মরিয়ম নূর’–এর পাইরেট কপি এখন সহজলভ্য টরেন্টে, ইভেন গুগল ড্রাইভে ইনবক্স থেকে ইনবক্সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরও রাগের বিষয় হচ্ছে অনেকের সঙ্গে এগুলো করছে ফিল্ম নিয়ে মোটামুটি জানাশোনা লোকজন। অনেক অপেক্ষায় ছিলাম ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা হলে দেখব। আর ২০-৩০ জনকে নিয়ে উৎসবের মতো করে ফিল্ম দেখব। তা কি আদৌ আর হবে? জানি না!”
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ পাইরেসির খবরে পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানা গেছে।