অনলাইনে ‘মিথ্যা রটনা’ ছড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ঢালিউড তারকা সিয়াম আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে সিয়াম বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি এবং কিছু তথাকথিত ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল আমার নাম উল্লেখ করে মূলত অনলাইন মাধ্যমে আমাকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প থেকে শুরু করে নানাবিধ মিথ্যাচার ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সমস্ত গল্পগাথা, মিথ্যাচার ও নোংরামোর কোনো ভিত্তি নেই। আপনারা লক্ষ করে থাকবেন যে বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজমান। সেগুলোর কারণ কিংবা বিধেয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এসব তর্ক–বিতর্ক আর মিথ্যাচার কিংবা কুৎসা রটাবার যে “সীমারেখা” রয়েছে, সেটি ছাপিয়ে যখন আমাকে হীন উদ্দেশ্যে নানাবিধ মিথ্যাচারে বিদ্ধ করা হয় এবং একই সঙ্গে আমার পারিবারিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবার চেষ্টা করা হয়, তখন কেবল একজন অভিনেতা/মিডিয়াকর্মী হিসেবেই নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেও আমার দায়, আমাকে যাঁরা ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন এবং যাঁরা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, তাঁদের প্রতি আমার একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার।“
এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান সিয়াম।
“আমি এই পুরো ব্যাপারটিতে মর্মাহত ও বিস্মিত। বাংলাদেশের একজন আইন মান্যকারী নাগরিক। পেশায় একজন অভিনেতা এবং আইনজীবী। আমি স্পষ্ট জানাতে চাই, যারা এসব মানহানিকর কর্মকাণ্ড তথা এই কুৎসা রটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ দ্রষ্টব্য) আমি মনে করি, একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আদালতের ওপর বিচারের ভার ছেড়ে দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।“
সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সবাইকে আহ্বান জানান সিয়াম। এতে সমর্থন দেন টিভি ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা।
নাটকের পর চলচ্চিত্রে অভিনয়েও সফলতা পেয়েছেন সিয়াম। ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্য করে প্রশংসিত হন তিনি।