সঙ্গীত অঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন অ্যালবামে নারীশিল্পী নির্ভর কাজ করছেন সঙ্গীতশিল্পী আনুশকা শংকর।
আনুশকা জানান, দুটি বিষয় কাজ করেছে এতে। “এক, লাভ লেটারস (এলপি)-এর কারণে আমি স্বাভাবিকভাবেই আমার নারী শিল্পীবন্ধুদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছি। মন ভাঙার কথা, দুর্বলতার কথা, সেরে ওঠার কথা নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার সহকর্মীদের অনেক কাছাকাছি গিয়েছি, আর তাতে স্বাভাবিকভাবেই সুন্দর ও শক্তিশালী নারী শিল্পীরা আমাকে টেনেছে।“
আর দ্বিতীয় কারণটি হলো, নারীদের সুযোগ দিতে তিনি নিজের জায়গা থেকে কাজ করতে চাইছেন। “একারণেই আমি ক্যামেরার শুধু সামনেই নয়, পেছনেও যত বেশি সম্ভব নারীদের সুযোগ দেওয়ার গুরুত্ব অনুভব করেছি।“
সঙ্গীত অঙ্গনের সবক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের অভাব খুবই দৃশ্যমান বলে মনে করেন আনুশকা। এ সমস্যা কাঠামোগত বলে মনে করেন এ সঙ্গীতশিল্পী – “ব্যক্তির দিক থেকে শিক্ষা এবং বর্তমান অসমতাকে স্বীকার ও সংশোধন করা অবশ্যই জরুরি, কিন্তু সঙ্গে প্রয়োজন কাঠামোগত পরিবর্তন ও দায়বদ্ধতা। লিঙ্গবৈষম্য, বর্ণবাদ, জাতভেদ বা এলজিবিটিকিউ+ মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্য – যার কথাই বলি না কেন।”
আনুশকা শংকরের এ অ্যালবামে গাইছেন তাঁর সৎবোন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নোরা জোনস।
“প্রেমে পড়ার অনুভূতিটি আমি ধরতে চাইছিলাম, শুরুর সে অস্থির আনন্দ আর আকাঙ্ক্ষা। লকডাউনে কাজ করতে হয়েছে দূর থেকে। যাই হোক, আমাদের সীমাবদ্ধ যোগাযোগেই আমাদের চাহিদা বুঝে নিয়েছে, আর গেয়েছে চমৎকারভাবে। আমার সহ-লেখক আলেভ লেঞ্জ আর আমি গানগুলো দাঁড় করিয়েছিলাম, আর আমি (নোরাকে) কিছুটা গেয়ে শুনিয়েছিলাম। আর অবশেষে যখন নোরার মনোমুগ্ধকর গলা গানে চলে এলো, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।“