সাধারণ সময়ে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লাখ রূপি আয় করতেন, করোনা-লকডাউন শুরুর পর থেকে সেই আয় ৬ থেকে ৮ লাখে গিয়ে দাঁড়ায়। তদন্তে এমন আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বলছি বলিউড তারকা শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার কথা। দেড় বছরে যিনি এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পুলিশের বরাত দিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, করোনার প্রকোপ কোটি কোটি মানুষের জন্য অভিশাপ হলেও—রাজ কুন্দ্রার জন্য হয়েছে শাপে বর।
পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ২০১৯-এর গোড়ার দিকে রাজ ‘আর্মসপ্রাইম মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেন। কয়েক মাস পর এই প্রতিষ্ঠান ‘হটশট’ নামে একটি অ্যাপ বাজারে আনে। পুলিশ এই অ্যাপটিকে ‘পর্নো অ্যাপ’ হিসেবে ধরে তদন্ত শুরু করে। তখন থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে পর্নো ভিডিও পাঠানো বন্ধ করে উইট্রান্সফারে ভিডিও পাঠানো শুরু করে রাজ ও তার সহকর্মীরা।
মুম্বাই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মিলিন্দ ভারাম্বে ২০ জুলাই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ব্যবসার সঙ্গে শিল্পার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে। শিল্পার জড়িয়ে থাকার প্রমাণ এখনো না মিললেও, প্রমাণ মিলেছে রাজের শ্যালক এর সঙ্গে জড়িত। রাজের ‘ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘কেনরিন’ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। এই ‘কেনরিন’-এর মালিক রাজের শ্যালক। ‘কেনরিন’ই মূলত রাজের ‘হটশট’ অ্যাপটি ২৫ হাজার মার্কিন ডলারে কিনে নিয়েছিল।
পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট উৎপাদন ও প্রদর্শনের অপরাধে ১৯ জুলাই রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশেরর ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তারপর তার রিমান্ড আবেদন করা হলে ২৩ জুলাই পর্যন্ত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, রাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০সহ মোট চারটি ধারা আরোপ করা হয়েছে। উমেশ কামাত নামের এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি ভারতে রাজের পর্নো ব্যবসা সামলাতেন।
এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানতে পারে কিছু ছেলে-মেয়ে পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে আপলোড করছে। এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে রাজ কুন্দ্রার সাত কাহন। সবাই এখন শিল্পার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।