মাইকেল জ্যাকসন দ্বারা জনপ্রিয় ‘মুনওয়াক’ এর জনক তিনি। শুধু মূকাভিনয় শিল্পী হিসেবেই নয়, দুক্রু তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নাট্য এবং চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
কর্পোরাল মাইমের উদ্ভাবক এবং আধুনিক মাইমের জনক এতিয়েন দুক্রু’র ১৯ জুলাই জন্মদিন। তিনি একজন ফরাসি অভিনেতা ছিলেন। ১৮৯৮ সালের ১৯ জুলাই অর্থাৎ আজকের এই দিনে দুক্রু ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯২৬ থেকে ১৯৪৫, এই দুই দশক সময়ে নিজেকে একজন সফল অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি বেশ কিছু নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেন। এর মধ্যে চিলড্রেন অফ প্যারাডাইজ অন্যতম। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ফরাসি সিনেমাতে অভিনয় করেন দুক্রু। তবে যাই করেন না কেনো মূকাভিনয় তাকে খুব বেশি আটকে রেখে ছিল। মূকাভিনয় করার পাশাপাশি এ নিয়ে তিনি গবেষণাও করেন। একটা সময় তিনি অভিনেতা হিসেবে তার ক্যারিয়ারকে বিদায় জানান এবং পুরোপুরি মূকাভিনয়ে সময় দেন। গড়ে তোলেন নিজের মাইম স্কুল ও নিজস্ব সংস্থা।
সেই সময় তিনি তার ওয়ার্ডস অন মাইম বইতে কর্পোরাল মাইমের তত্ত্বগুলো প্রকাশ করেছিলেন। তাকে আধুনিক মাইমের জনক বলা হয় এ কারণ যে- তিনি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে কর্পোরাল মাইম তত্ত্বের মাধ্যমে পেন্টোমাইমের আধুনিক শিল্পকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন।
দুক্রু শরীরকে কাজে লাগিয়ে মূকাভিনয়ের একটি ভিন্ন ধারা উদ্ভাবন করেছিলেন। যা তার সময়কালের থিয়েটার কর্মীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে এবং একটা বড় অংশ তার এ কাজে অনুপ্রাণীত হয়।
দুক্রু সফলভাবে মূকাভিনয় শিল্পের একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল উপহার দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার কৌশলটি ছিল এমন যে- শরীরকে ব্যবহার করে শিল্পের মধ্যে এক নান্দনিক ও নাটকীয়তার উপস্থাপন।
১৯৫৭ বা তার কাছাকাছি সময়ে দুক্রু নিউইয়র্কের চলে যান। সেখানে দীর্ঘদিন মূকাভিনয় নিয়ে কাজ করেন। এরপর ১৯৬২ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আবারও প্যারিসে ফিরে আসেন। ফিরে এসে তিনি একটি স্কুল চালু করেন। যেখানে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
মূকাভিনয়ের এই মহান শিল্পী ১৯৯১ সালের ১২ মার্চ ফ্রান্সের বোলগন-বিলানকোর্টে মৃত্যুবরণ করেন।