২০০৮ সালে পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স বিষণ্নতা ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে আদালতের আদেশে ব্রিটনির বাবা জিমিকে ব্রিটনির সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দেয়া হয়।
এই গায়িকার আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বাবা (জিমি)। কিন্তু ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ব্রিটনি জানান, এটা তার কাছে বন্দি থাকার মতো। যত দ্রুত সম্ভব এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চান তিনি।
এনবিবিসি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পপ তারকা ব্রিটনির আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়। ফলে তার অভিভাবক বাবা জিমিই থাকছেন। আদালতের বক্তব্য, ‘এখনো তিনি সম্পদ রক্ষা করতে যথেষ্ট সক্ষম নন’।
এ নিয়ে বেশ কিছু আবেগঘন মন্তব্যও করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক দীর্ঘ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ৩৯ বছর বয়সী গায়িকা লিখেছেন, ‘এই জিম্মাদশা আমার স্বপ্নগুলোকে খুন করে ফেলেছে। এখন আশা ছাড়া আর কিছু নেই আমার।’
২০১৮ সালের শেষদিকের পর জনসমক্ষে আর কোনো পারফর্ম না করা ব্রিটনি আরও লিখেছেন, ‘আমি কি পরব, কি বলব, কি লিখব, কিংবা কি ভাবব- সবই যদি বাবাই ঠিক করে দেবেন, তাহলে আমি আর কখনোই কোনো মঞ্চে পারফর্ম করব না।’
বিবিসি-এর খবর, জিম্মাদশার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের জন্য ১৪ জুলাই তিনি একজন নতুন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে তার মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর।