বাংলা ব্যান্ডসংগীতের ‘রাজপুত্রে’র জন্মদিন আজ। আজকের এই দিনে খুলনায় গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন। তাকে বাংলা ব্যান্ডের সোনালি যুগের বরপুত্র বললে ভুল হবে না। তিনি আসলেই বাংলা গানের প্রিন্স। অনেকে তাকে জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে সম্বোধন করেন, যিনি বাংলাদেশকে দিয়েছেন অসংখ্য তুমুল জনপ্রিয় গান এবং জয় করেছেন সারাদেশের মানুষের হৃদয়। থ্রিসিক্সটি বিনোদন-এর পক্ষ থেকে এই গুণী শিল্পীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ছেলেবেলা থেকেই তিনি ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত। আশির দশকের শেষের দিকে গড়ে তোলেন ‘দ্য ব্লুজ’ নামের ব্যান্ড। সে ব্যান্ডের তিনি ছিলেন ভোকাল ও গিটারিস্ট। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে গড়ে তোলেন আরেককটি ব্যান্ড—‘ফ্রম ওয়েস্ট’। সেই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘সে কেমন মেয়ে’। ১৯৯৫ সালে বের হয় মিক্সড অ্যালবাম ‘শক্তি’। এই অ্যালবাম তাকে সুরকার ও গীতিকার হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এভাবেই শুরু।
১৯৯৯ সালের শেষ এবং ২০০০ সালের শুরুটা বাংলা ব্যান্ডের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এসময় একের পর এক ব্যান্ড বাজারে আসে, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। জন্ম নিতে থাকে একটির পর একটি আকাশছোঁয়া গান। সেসময় গান লিখে নাম কুড়াতে শুরু করেন প্রিন্স মাহমুদ।
তারপর আর থেমে থাকেননি এই শিল্পী। আজম খান, নকীব খান, জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, হাসান, খালিদ, শাফিন, পার্থ, ফাহমিদা নবী, ন্যান্সি, তপু, রুমি—কার সঙ্গে কাজ করেননি! বলে শেষ করা যাবে না। আর তার জনপ্রিয় গানের তালিকা সুদীর্ঘ। ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘কেন সেই হৃদয়হীনা ভেঙেছে হৃদয় আমার’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘যদি তুমি ভালোবাসো আমায়, শুধু একারণে পালাতে চাই’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘ফুল নেবে না, অশ্রু নেবে বন্ধু’, ‘বাংলাদেশ’, ‘মা’, ‘গুরু’, ‘বাবা’, ‘যদি স্বীকার করতে বন্ধু তুমি হতে জয়ী’, ‘এতো কষ্ট কেন ভালোবাসায়’, ‘মাটি হবো মাটি’, ‘সোনার মেয়ে’…এভাবে চলতেই থাকবে।
বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের পুরোধাদের একক কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া অধিকাংশ গানই প্রিন্স মাহমুদের। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গান নিয়ে আছেন তিনি। নব্বই দশকের ব্যান্ডসংগীতে প্রায় একাই রাজত্ব করেছেন প্রিন্স। এখনো শিল্পীরা তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে থাকেন। আর সংগীতপ্রেমীরা তার করা গানের অপেক্ষা থাকেন।