বাংলাদেশ কিংবা কলকাতা দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়তা তাহসান-মিথিলার। একসময় এই জুটি অনেকের কাছেই ‘সেরা জুটি’ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু ২০১৭ সালে ২০ জুলাই তাহসান-মিথিলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যান তাদের ভক্তরা। শুরু হয় নানাবিধ সমালোচনা। তবে এর সবটা জুড়েই রয়েছেন মিথিলা। অসংখ্যবার কটুক্তির শিকার হতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে।
এরপর কলকাতার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা। এ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন তিনি। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো চলমান রয়েছে। তিনি এই সব তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে।
মিথিলা বলেন, ‘মানুষের সবচেয়ে বেশি রাগ আমার ওপর। মানুষ প্রশ্ন করছেন মেয়ে হয়ে কেনো আমি বিবাহবিচ্ছেদ করলাম? মেয়েদের নাকি এসব করতে নেই। তাহসানের ওপর রাগ নেই, যত রাগ আমরা ওপর। আমি কেনো বিয়ে করলাম। আর সৃজিত তো ইসলাম ধর্মের না। আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে কলুষিত করেছি। আমি নাকি ‘চরিত্রহীন মা’। এই ‘অসভ্য’ মা ‘অসভ্য’ জাতির জন্ম দিবে।’
বেশকিছু দিন আগে ইভ্যালির আয়োজনে প্রাক্তন স্বামী তাহসানের সাথে ফেইসবুকে লাইভে অংশ নিয়েছিলেন মিথিলা। সেখানেও নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য উঠে এসেছিল মিথিলাকে নিয়ে। তবে এর প্রতিবাদও করেছিলেন তাহসান।
এ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘তাহসান আমার প্রাক্তন স্বামী। আমরা আজও বন্ধু। আমাদের রোজ কথা হয়। মানুষকে বুঝতে হবে আমরা দুজন এক বাচ্চার বাবা-মা। আমাদের সম্পর্কটা এখনও বন্ধুর মতো। আর এই সম্পর্ক আয়রার জন্য খুব জরুরি। আমার আর তাহসানের স্বাভাবিকতার জন্যই আয়রা আমায় আজ বলতে পারে, ‘মা আমি বাবার কাছে যাবো।’ আমার অন্যান্য বন্ধুদের তো দেখেছি বিবাহবিচ্ছেদের পর পারস্পরিক সম্পর্ককে তারা এতোটাই তিক্ত করেছে যে, তার প্রভাব বাচ্চার ওপর পড়েছে। আয়রা সেখানে স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হচ্ছে।’
বেশ কিছুদিন আগে অনলাইনে জামাইষষ্ঠী পালন করেন পরিচালক সৃজিত। মিথিলার হয়ে নির্মাতার জন্য এলাহি আয়োজন করেছিলেন সৃজিতের বাড়ির লোক। সাথে খানাপিনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সৃজিত বন্ধু শুভঙ্কর বন্দ্যাপাধায়। এই উৎসবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী মিথিলা। কেননা, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তাই ভার্চুয়ালি একে অপরের সান্নিধ্যে রয়েছেন সৃজিত ও মিথিলা।