মার্কিনি বা ব্রিটিশ না হয়েও এতো খ্যাতি, এতো সম্মান জীবদ্দশায় খুব কম লেখকই পেয়েছেন। তিনি এখনো সাহিত্যে নোবেল পাননি, পাননি বুকারও- কিন্তু বিশ্বজুড়ে তার সমাদর কোনো নোবেলজয়ী সাহিত্যিকের চেয়ে কম নয়, বরং অনেকের চেয়ে বেশি। তিনি ব্রাজিলীয় লেখক ও গীতিকার পাওলো কোয়েলহো। ১৯৭৪ সাল থেকে তার বই বের হচ্ছে। কম তো লিখেননি, কিন্তু তাকে সবাই চেনে একটি উপন্যাস দিয়ে- ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ (১৯৮৮)। অনেকে কোয়েলহোর নাম শোনেনি, অ্যালকেমিস্টের নাম শুনেছে। বইটি বিশ্বের ৮৩টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!
গতকাল ১ জুন এবিষয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই তুমুল জনপ্রিয় লেখক। ছোট্ট করে লিখেছেন, ‘বইটি (দ্য অ্যালকেমিস্ট) এক বছরে মাত্র ৯০০ কপি বিক্রি হওয়ায় এর প্রথম প্রকাশক বইটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আমি তখন নিজেকে বলেছি, “আমি যা বিশ্বাস করি তাই লিখি।” আমি বিশ্বাস করি পুরো ব্রহ্মাণ্ড আমাকে সাহায্য করবে। আজকে দেখুন:’ ‘দেখুন’ বলেই এখন পর্যন্ত যে যে ভাষায় বইটি অনুবাদ হয়েছে সেসব ভাষার একটি তালিকা তুলে ধরেছেন তিনি।
সেই তালিকা আসলেই বিস্ময়কর ও ঈর্ষনীয়। আফ্রিকান থেকে শুরু করে ভিয়েতনামী- মোট ৮৩টি ভাষায় এখন বিশ্বজুড়ে সুলভ ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’। ওই তালিকায় বাংলাও রয়েছে।
পাওলো কোয়েলহোর জন্ম ১৯৪৭ সালে, ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে। ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ ছাড়াও ‘দ্য উইন্টার স্ট্যান্ডস এলোন’, ‘ইলেভেন মিনিটস’, ‘ব্রিডা’, ‘মাকতুব’, ‘দ্য জাহির’, ‘হিপি’, ‘দ্য আর্চার’ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তার লেখার প্রধান উপজীব্য আত্ম-পরিচয়। তার লেখায় সূফিবাদ ও আধ্যাত্মিকতার প্রভাব লক্ষণীয়। তার গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র ও মঞ্চনাটক তৈরি হয়েছে।