আলোচিত সিনেমা ‘রামপ্রসাদ কি তেহরভি’

সীমা পাহওয়া ভারতীয় অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ‘রামপ্রসাদ তেহরভি’র মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন। ‘রামপ্রসাদ কি তেহরভি’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন জিও স্টুডিও এবং দিশ্রাম ফিল্মস।এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাসিরউদ্দিন শাহ, বিনয় পাঠক, বিক্রান্ত মাসি, কনকনা সেন শর্মা, বিনীত কুমার, মনোজ পাহওয়া, সুপ্রিয়া পাঠক, দীপিকা আমিন, নিনাদ কামাত ও টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে ১৭ অক্টোবর মুম্বাইয়ে চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায় সিনেমাটি। পরবর্তীতে পহেলা জানুয়ারি ২০২১ নাট্যমঞ্চে প্রকাশিত হয়েছিল।

রামপ্রসাদের আকস্মিক মৃত্যু এই ছবির পটভূমি, যা বহুদিন পরে নিজ নিজ পরিবারসহ তার ৪ পুত্র ও ২ কন্যাকে আবার ফিরিয়ে আনে তাদের পৈতৃক বাড়িতে। আলাদা করে কোনো গল্প বা প্লট নেই, মূলত বাউজির মৃত্যু পরবর্তী ১৩ দিনের শোকপালনের সময় বিভিন্ন ছোট ছোট ঘটনা ও পরিবারিক টানাপড়েন নিয়েই এই ছবি। আলাদা জায়গা ও অবস্থান থেকে উঠে আসা এতগুলো মানুষের সহাবস্থানে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণার পাশাপাশি নিরন্তর লেগে রয়েছে খটাখটি, ঝগড়া, আপস ও মান-অভিমান। কোনো চরিত্রই নিখুঁত নয়— কখনও পুরনো ধার দেনার হিসেব নিয়ে স্ত্রীদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হচ্ছে, আবার অন্য দিকে নাতি নাতনিরা মিলিত হওয়ার কারণ ভুলে গিয়ে ভুল সময়ে আনন্দে মাতছে। এই সব চোখে পড়ায় শোকে বিধ্বস্ত সদ্য বিধবা হওয়া আম্মা আরও ভেঙে পড়ছেন, অসহায় হয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঝরাতে মেয়ের কাছে প্রকাশ করছেন তাঁর দোটানা- সব সময় সকলে মিলে একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখে এসেও, সবাই বাস্তবে একত্রিত হওয়ার পর কেন তাঁর এত একা লাগছে, তিনি বুঝতে পারেন না।

এ সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সমাজে এমন কিছু নিষ্ঠুর সংস্কার যা আমরা তৈরি করেছি আমাদের নিজেদের অজান্তেই যে সেখানে মানবিক আবেগের কোন বালাই থাকে না। আপনজনের মৃত্যুর পর প্রধান আলাপ থাকে আত্মীয়-স্বজন, মানুষদের থাকা-খাওয়া, এলাকার মানুষদের ভোজ দেয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গ। কেবল চিরতরে হারিয়ে যাওয়া মানুষটাই থাকে না।

এ ছবির প্রধান রসদ অভিনয়। কেবল অভিনয় দেখার জন্যই ভরসা করে এক বার এই ছবি দেখা যেতে পারে।

 

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন