গতকাল (৯ মার্চ) উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত ‘শিমু’র। ‘শিমু’ ও তার কারিগর রুবাইয়াত হোসেনর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি ৯ মার্চ তার ভেরিফাইড পেজে লিখেছেন, ‘‘রুবাইয়াত একদিন দাওয়াত করলো ওর বাসায় ওর পরের ছবি আন্ডার কন্স্ট্রাকশনের একটা কাট দেখার জন্য। সত্যি বলতে আমি কোনো রকম উচ্চ আশা ছাড়াই ছবিটা দেখতে যাই। এবং ছবি দেখে চমকে যাই। ছবিটার মধ্যে আমি স্পষ্ট একজন পরিচালকের আত্মা এবং ব্যাক্তিত্ব খুঁজে পাই। ছবিটার সততা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। তারপর থেকে রুবাইয়াতের সঙ্গে আমার সখ্য তৈরি হয়।’’
ফারুকী রুবাইয়াতের ‘মেহেরজান’ সিনেমা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘একদিন জানতে পারলাম সে (রুবাইয়াত) মেহেরজান নামে একটা ছবি বানাচ্ছে। ছবিটা বানানোর পরে এটা নিয়ে নানা কাহিনী শুরু হলো। হল থেকে নামানো হলো। তখন আমি ছবি নিষিদ্ধ করার প্রবণতার বিরুদ্ধে লিখলাম, সম্ভবত কালের কণ্ঠে। যদিও মেহেরজান আমার পছন্দের কোনো ছবি ছিলো না, ফিল্মমেকারের ভিশনের দিক থেকে বলতে গেলে। তারপরও এটাকে নিয়ে যে অদ্ভুত মরাল ওয়ার দেখলাম সেটার বিরুদ্ধে কথা বলা প্রয়োজন মনে করেছি বলে লিখি।’’
রুবাইয়াতকে আমি প্রথম চিনি বন্ধুর বউ হিসাবে। “বন্ধুর বউ” মোটামুটি একটা বিপজ্জনক টার্ম হয়ে উঠতে পারে যেটা নিয়ে একটু পরে কথা বলবো। তো জানতে পারলাম ও আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করে আসছে।এবং একদিন জানতে পারলাম সে মেহেরজান নামে একটা ছবি বানাচ্ছে। ছবিটা বানানোর পরে এটা নিয়ে নানা কাহিনী শুরু হলো। হল থেকে নামানো হলো। তখন আমি ছবি নিষিদ্ধ করার প্রবণতার বিরুদ্ধে লিখলাম, সম্ভবত কালের কন্ঠে। যদিও মেহেরজান আমার পছন্দের কোনো ছবি ছিলো না, ফিল্মমেকারের ভিশনের দিক থেকে বলতে গেলে। তারপরও এটাকে নিয়ে যে অদ্ভুত মরাল ওয়ার দেখলাম সেটার বিরুদ্ধে কথা বলা প্রয়োজন মনে করেছি বলে লিখি।
এপ্রসঙ্গে ফারকী বলেছেন তাকে পীড়া দিয়েছে ‘প্রগতিশীল মহলের একটি প্রপাগান্ডা’। তিনি লিখেছেন, “প্রপাগান্ডাটা ছিলো এইরকম যে, রুবাইয়াত আসলে ছবিটা বানায়নি, বানিয়েছে ওর হাজব্যান্ড। আমি দেখলাম ‘বন্ধুর বউ’কে একটা সৃজনশীল স্বাধীন ইলামেন্ট হিসাবে দেখতে সংকোচ হচ্ছে আমাদের অনেকেরই। ব্যাপারটা আমাকে পীড়িত করলেও অবাক করে নাই।’’
শেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, “ ‘শিমু’ মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার। আজকে (৯ মার্চ) ছিলো প্রিমিয়ার শো। ব্যস্ততার কারণে আজকে ছবিটা দেখতে পারিনি। সবার সাথে টিকেট কেটেই দেখবো। অল দ্য বেস্ট, রুবাইয়াত। কিপ রকিং।’’
এই চলচ্চিত্রে নারী পোশাকশ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প বলা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী, দীপান্বিতা মার্টিন, মুস্তাফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সামিনা লুৎফা প্রমুখ। দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী ও ভারতের শাহানা গোস্বামী। বিদেশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামে প্রদর্শিত হয়েছে সিনেমাটি। তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রটি ‘শিমু’ নামে জমা দেয়া হয়।