‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’! সোমবার ভালবাসা দিবসের সকালে প্রসেনজিৎ নিজের ফেসবুক পেজে ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে এই সুখবর শেয়ার করে লেখেন, ‘সকলের নিমন্ত্রণ রইলো। সপরিবারে আপনাদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য।‘
ভালবাসা দিবসে বিয়ের ঘোষণা দেয়া কার্ডে লেখা,
“সবিনয় নিবেদন, মহাশয়া/মহাশয়া, বিগত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পরে আমরা নতুনভাবে আপনাদের সামনে আসতে চলেছি। প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা। গুরুজনদের আশীর্বাদ আর সবার ভালবাসা নিয়ে আগামীদিনে পথ চলতে চাই। পাকা দেখা থেকে বিয়ের সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তার টিম হাট্টিমাটিম। বিয়ের ঘটকালির দায়িত্বে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। তত্ত্বাবধানে মোহর ও শর্মিষ্ঠা। ডিজিটাল নিমন্ত্রণ পত্রের দ্বারা ত্রুটি মার্জনীয়।
বিনীত/বিনীতা
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
বিয়ে সম্পর্কিত যে কোনওরকম তথ্যের জন্য কোনো রকম লজ্জা না পেয়ে ফোন করুন শর্মিষ্ঠা ও মোহরকে।”
এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই কৌতূহল বেড়ে গেলো ভক্তদের মধ্যে। টলিউডের অন্যতম সেরা জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা সত্যিই কি বিয়ে করছেন? ভালবাসা দিবসে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার বিয়ের খবরে আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা হয়েছে ভক্তদের। এই বিয়ের ঘটকালি করছেন প্রসেনজিতের বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়।
আমন্ত্রণপত্র দেখে প্রসেনজিৎ এর ম্যানেজার মোহরের সাথে কথা বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একটি নতুন সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে সিনেমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে চান না তারা।
উল্লেখ্য, দর্শকদের অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি। দীর্ঘ বিরতির পর এই জুটির পর্দায় প্রত্যাবর্তন ঘটে শিবু-নন্দিতার হাত ধরে ‘প্রাক্তন’ দিয়ে। এরপর ২০১৮ তে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’ সিনেমায় কাজ করেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা।