বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের মসূয়ায় সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িতে চিত্রগ্রহণেরর কাজ শেষ হয়েছে। চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে আরো দুটি স্থানসহ পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে। এখন বাকি সম্পাদনা। তারপরই প্রেক্ষাগৃহ এবং ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে আসবে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি।
এটি নির্মাণ করছেন তরুণ নির্মাতা প্রসূন রহমান। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনকেকে তিনি বলছেন, ‘এটি হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে প্রসূন রহমানের ইমেশন ক্রিয়েটর।
চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রসূন জানান, তিন সময়ের তিনজন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিয়ে এর কাহিনী। প্রথমজন সত্যজিৎ রায়, অন্য দুজন তার পরের প্রজন্মের। সত্যজিৎ রায়ের দাদা-বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে নবীন নির্মাতা অপরাজিতা হক আবিষ্কার করেন সত্যজিৎ রায়ের ‘অপু ট্রিলজি’র সঙ্গে জুড়ে থাকা প্রবীণ নির্মাতা আসিফ মাহমুদের গল্প। যে গল্প বরাবরই অব্যক্ত থেকে গেছে।
আর এই আসিফ মাহমুদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। আর অপরাজিতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌটুসী বিশ্বাস। এই ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন পংকজ মজুমদার, সাইদ বাবু, সঙ্গীতা চৌধুরী, লাবণ্য চৌধুরী, এহসানুল হক, নুসরাত জাহান নদী, আবীর প্রমুখ।
জানানো হয়েছে আগামী বছর ২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। তার আগে বেশকয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেবে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’।
প্রসূন রহমান এর আগে নির্মাণ করেছেন ‘সুতপার ঠিকানা’, ‘জন্মভূমি’, ‘নিগ্রহকাল’, ‘ঢাকা ড্রিম’, ‘রাইস অ্যান্ড প্রে’, ‘ফেরা’, ‘নদী ও নির্মাতা’, ‘ব্যালাড অফ রোহিঙ্গা পিপল’, ‘এই পুরাতন আখরগুলি’ এবং ‘মার্চ টু ডিসেম্বর’।