গত ৮ ডিসেম্বর নির্মাতা করন জোহর মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে ডিনারের আয়োজন করেন। এতে উপস্থিত তারকা অতিথিদের মধ্যে অমৃতা অরোরা, সীমা খান ও মাহিপ কাপুরের শরীরে পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বলিউড তারকা কারিনা কাপুরও। গত ১৩ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারিনা জানান, তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার গৃহকর্মীদের একজনের শরীরেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এরপর মুম্বাই মিউনিসিপাল কারিনার বাড়ি সিলগালা করে দেয়, এবং তা জীবাণুমুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়।
কারিনা বলেন, “(করোনাভাইরাস ধরা পড়ার) সঙ্গে সঙ্গেই আমি নিজেকে আলাদা করে নিয়েছি, সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি মানছি। আমার অনুরোধ, যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন সবাই টেস্ট করিয়ে নেবেন। আমার পরিবার ও গৃহকর্মীদের সবারই দুই দফায় ভ্যাক্সিন নেয়া আছে। তাদের মধ্যে কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। আমি ভালোই অনুভব করছি, আর আশা করছি শীঘ্রই ফিরতে পারবো।”
সংক্রমণের কারণে আপাতত দুই সন্তান তৈমুর ও জেহ-এর কাছে যেতে পারছেন না কারিনা। আর তাতে তার সব রাগ গিয়ে পড়েছে অদৃশ্য করোনাভাইরাসের ওপর। মাতৃস্নেহের তাড়নায় অস্থির হয়ে আছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন কারিনা।
এছাড়াও গত ১৬ ডিসেম্বর ইনস্টাগ্রামে কারিনা একটি ছবি শেয়ার করেছেন। এতে দেখা যায়, তিনি আলাদা একটি ভবন থেকে স্বামী সাইফ আলী খানের সঙ্গে দেখা করছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি করোনাভাইরাসের বিধ্বংসী ক্ষমতার কথাও ভক্ত-অনুরাগীদের মনে করিয়ে দেন।
ডিনারের আয়োজনকে ‘পার্টি’ বলে সম্বোধন করা, আর একে করোনাভাইরাসের ‘হটস্পট’ হিসেবে উল্লেখ করার দায়ে সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষুব্ধ করন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, তার পরিবারের কেউই করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
সম্প্রতি কারিনাকে প্রয়াত বলিউড তারকা ইরফান খানের সঙ্গে ‘আংরেজি মিডিয়াম’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে। এরপর তিনি আমির খানের সঙ্গে ‘লাল সিং চাড্ডা’ চলচ্চিত্রেও থাকছেন।