১৯৫২ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ও কমনওয়েলথভুক্ত সাতটি দেশের রেজিমেন্টের রানী হন জর্জের মেয়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এরপর থেকে প্রতি বছরই বড়দিনের আগে রাণি এলিজাবেথ প্রথাগত হলিডে লাঞ্চে পরিবার ও প্রিয়জনদের স্বাগত জানিয়ে আসছেন। এই অনুষ্ঠান সাধারণত লন্ডনের বাকিংহ্যাম প্যালেসে হয়ে থাকলেও এবার উইন্ডসরের দূর্গে হওয়ার কথা ছিল। ৯৫ বছর বয়সী রানী এলিজাবেথ অতিমারির শুরু থেকেই এখানেই অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর এই অনুষ্ঠান হয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে করোনার অমিক্রন ধরন। এতে সেখানে আবারো সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। ফলে বড়দিনের আগে প্রথাগত যেসব অনুষ্ঠানে মানুষের সমাগম ঘটে, সেসব যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এবারের হলিডে লাঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথি ও তাদের পরিবারের সুরক্ষা এবং নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এই বছরও তাই এই অনুষ্ঠান বাতিল করলেন রানী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম পিপল সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতির চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হওয়ায় রানী খুশি নন। তবে এই প্রসঙ্গে বার্মিংহ্যাম প্যালেস কোনো মন্তব্য করেনি।
গত এপ্রিলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান রানী এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অফ এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ। স্বামীকে ছাড়া এই বছরই প্রথম বড়দিন উদ্যাপন করছেন রানী। হলিডে লাঞ্চে গত কয়েক বছর যাবতই প্রিন্স উইলিয়াম, কেইট মিডলটন, রানী এলিজাবেথের সন্তান-সন্ততি সহ পরিজনেরা আমন্ত্রণ পেয়ে আসছেন। হলিডে লাঞ্চ বাতিল হলেও পরিবারের সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করতে তিনি ঠিকই নোরফোকের স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেইটে যাচ্ছেন।