১৯৭০ সালে বাংলাদেশের কিংবদন্তি নির্মাতা জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ডে আটকে যায়। চলচ্চিত্রের কলাকুশলীদের ওপর নেমে আসে কড়াকড়ি ও নজরদারি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাছোড়বান্দা জহির রায়হান সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। এই ঐতিহাসিক ঘটনা অবলম্বনে ‘লাইটস, ক্যামেরা…অবজেকশন’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন সালেহ সোবহান। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির নতুন অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘জাগো বাহে’র দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে চলচ্চিত্রটি আজ (১৬ ডিসেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে।
‘লাইটস, ক্যামেরা…অবজেকশন’ চলচ্চিত্রে জহির রায়হানের চরিত্রে আছেন অভিনেতা মোস্তফা মনওয়ার। তিনি জানান, এমন কালজয়ী ব্যক্তিত্বের ভূমিকায় অভিনয় করা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। চরিত্রটি ধারণ করতে গিয়ে তিনি জহির রায়হান নির্মিত চলচ্চিত্র দেখেছেন, তাকে নিয়ে লেখা ও সাক্ষাৎকার খুঁজে বের করেছেন।
দৈনিক প্রথম আলোকে মনওয়ার বলেন, “এটা একটি চেম্বার ড্রামা। পুরোটাই একটা ডিবেট ছিল। যৌক্তিকতা দিয়ে অযৌক্তিকতা খণ্ডন করা। এগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের গল্প রুমের মধ্যে হলেও, এখানে আপস অ্যান্ড ডাউন আছে। থ্রিল ব্যাপারটা আছে। এ জন্য আমাকে এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। শুটিংয়ে সারাক্ষণ একটি বিষয় ভেবেছি, কীভাবে চরিত্রে ডায়মেনশন আনা যাবে।’’
চলচ্চিত্রের বিশেষ এক চরিত্রের অভিনেতা গাজী রাকায়েত বলেন, “ইতিহাসনির্ভর যেকোনো কাজ করতেই আমি তাড়না পাই। এখানে জহির রায়হান, আমজাদ হোসেনের মতো উল্লেখযোগ্য চরিত্র আছে। আমার কাছে গল্পটি একদমই ভিন্ন মনে হয়েছে। আমরা সবাই একনিষ্ঠভাবে কাজটির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম। প্রোডাকশন ডিজাইন, গল্পের ডায়মেনশন, সবই আমাদের সত্তরের সেই সময়ে নিয়ে গিয়েছিল।’’
‘লাইটস, ক্যামেরা…অবজেকশন’ চলচ্চিত্রের গল্পে আমজাদ হোসেন ও রাও ফরমান আলীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে মীর নওফেল আশরাফি জিসান ও ইন্তেখাব দিনার। অন্যান্য চরিত্রে আছেন অশোক ব্যাপারী, অপর্ণা ঘোষ, হায়াতুজ্জামান খান, অপূর্ব মজুমদার প্রমুখ। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘জাগো বাহে’র প্রথম পর্ব মুক্তি পায়।