এবার সরাসরি গল্প চুরির অভিযোগ উঠলো কবি, গীতিকার ও কথাসাহিত্যিক শ্রীজাতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ যিনি করেছেন তিনিও একজন লেখক—কণিষ্ক ভট্টাচার্য। কণিষ্কের অভিযোগ, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘খরগোশ আর মারুবেহাগ’ উপন্যাসের বিষয়বস্তু নিয়েছেন তার রচিত একটি ছোটগল্প থেকে।
কণিষ্কের সেই ‘শংকর কবিচন্দ্র বা রামকৃষ্ণ রায় যে আখ্যান লেখেননি’ শিরোনামের ছোটগল্পটি ছাপা হয় ২০১৮ সালে বাতিঘর পত্রিকায় আর শ্রীজাতের উপন্যাসটি ছাপা হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকার এবছরের পূজাসংখ্যায়। কণিষ্ক বলছেন, গল্পের প্লট থেকে শুরু করে চরিত্রের ধরণ, সবকিছুতেই তার লেখা সেই ছোটগল্পের সঙ্গে শ্রীজাতের উপন্যাসের অদ্ভুত মিল। দুই গল্পের চরিত্রদের নামেও নাকি মিল রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এনিয়ে কথা হচ্ছে। কথা হচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকাতেও। আনন্দবাজার-এ লিখিত অভিযোগ করেছেন কণিষ্ক। শ্রীজাতও তার জবাব দিয়েছেন। দুজনের চিঠিই ধারাবাহিকভাবে সে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি শেষে লিখেছেন, ‘‘আমার লেখা গল্পটি এবং শ্রীজাতের উপন্যাসখানি পড়ে আমার এবং আমার পরিচিত একাধিক বোধসম্পন্ন মানুষের মনে হয়েছে ‘খরগোশ ও মারুবেহাগ’ বহুলাংশে ‘শংকর কবিচন্দ্র বা রামকৃষ্ণ রায় যে আখ্যান লেখেননি’ গল্পের অনুকরণে রচিত এবং একে উপন্যাস রচয়িতার তরফে কুম্ভিলকবৃত্তি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।’’
অন্যদিকে ২০০৪ সালে ‘আনন্দ পুরস্কার’ পাওয়া শ্রীজাত আজ (২ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দাবি করেছেন, ‘‘আমার এই উপন্যাসের বীজ নিহিত ছিল আমারই এক কবিতার মধ্যে, যা আমি ২০১৫ সালে লিখি এবং ২০১৬ সালের ৭ মার্চ প্রথমবার আমার ফেসবুক-ওয়ালে পোস্ট করি। এবং সেই কবিতা থেকে উপন্যাসে আসার তাগিদ এতটাই বেশি ছিল যে, সেই কবিতায় বর্ণিত ঘটনাবলির এক বিস্তৃত রূপ আমি রচনা করি ‘খরগোশ আর মারুবেহাগ’ উপন্যাসের ১২ সংখ্যক পরিচ্ছেদে। সুতরাং, আমার উপন্যাসটি পুরোপুরি মৌলিক নয়, আমারই এক কবিতার আধারে রচিত।’’