সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবছরের বুকার প্রাইজ জয় করে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উপন্যাসিক ডেমন গ্যালগাট। এর আগে দুবার বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তিনি এসেছিলেন—২০০৩ সালে ‘দ্য গুড ডক্টর’ এবং ২০১০ সালে ‘ইন এ স্ট্র্যাঞ্জ রুম’ বইয়ের জন্য। আর এবার লম্বা তালিকায় এসেছিল তার ‘দ্য প্রমিজ’ বইটি। আর এই বইয়ের জন্যই তিনি পেলেন মর্যাদাপূর্ণ এই সাহিত্য পুরস্কার। গত ৩ নভেম্বর পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে গ্যালগাট পাচ্ছেন ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তার জন্ম ১৯৬৩ সালে। তিনি মূলত নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক। ১৭ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম উপন্যাস লেখেন। তার লেখা অষ্টম গ্রন্থ ‘আর্কটিক সামার’-এর জন্য ২০১৫ সালে ‘সানডে টাইমস ফিকশন প্রাইজ’ অর্জন করেন।
বুকার পেয়ে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, এ পুরস্কার পেয়ে তিনি বিস্মিত এবং তিনি পুরস্কারটি দক্ষিণ আফ্রিকার সকল লেখককে উৎসর্গ করেন। ‘দ্য প্রমিজ’ উপন্যাস সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘এটি উঁচুদরের বিষয়বস্তুর একটি অসামান্য গল্প। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০ বছরের ইতিহাস এই উপন্যাসে রয়েছে।’
বুকার পুরস্কার কর্তৃপক্ষ শত শত বই থেকে ১৩টি বই নিয়ে প্রকাশ করেছিল ‘লংলিস্ট’ বা দীর্ঘ তালিকা। সেই তালিকা থেকে অবশেষে বেছে নেয়া হয় গ্যালগাটের ‘দ্য প্রমিজ’। দীর্ঘ তালিকায় ছিল জাপানি লেখক কাজুও ইশিগুরোর মতো সাহিত্যিকের উপন্যাস।
যুক্তরাজ্যের এই পুরস্কারের জন্য যেকোনো লেখক বই জমা দিতে পারেন। তবে শর্ত হলো—বইটি যুক্তরাজ্য থেকেই প্রকাশিত হতে হবে। যাহোক, এই বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও এ পুরস্কার পেতে চান বেশিরভাগ ইংরেজি ভাষার লেখক। অনেকের স্বপ্ন ওই বুকার পুরস্কার।