গত ১ সেপ্টেম্বর অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব আহবান করেছিলো বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে ৩১ অক্টোবর প্রস্তাব জমা নেওয়ার শেষ দিন ধার্য হলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে।
২৭ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উল্লিখিত শর্তাবলি অপরিবর্তিত রেখে পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।“
এর আগে ৩১ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব আহবান করা হয়। এতে বলা হয়, ৩১ অক্টোবর বিকাল ৪টার মধ্যে চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নাম সহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র-২ শাখায় জমা দিতে হবে। বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখবে এমন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ গল্পের চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার পাবে সাহিত্যনির্ভর ও শিশুতোষ গল্প ও চিত্রনাট্য।
গল্প ও চিত্রনাট্যটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, শিশুতোষ, সাধারণ শাখা, নাকি প্রামাণ্যচিত্র, তা আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। তাছাড়া শুধু বাংলাদেশের নাগরিকেরা অনুদান পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে বিদেশি শিল্পী বা কলাকুশলীর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। তবে নির্মাণাধীন, সমাপ্ত বা মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য কোনোভাবেই অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে না।