বাংলাদেশের একমাত্র ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ফটোফি একাডেমি অব ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফি’। সম্প্রতি তাদের ফেসবুক পেজটি ‘ভেরিফাইড’ হয়েছে—এই প্রথম দেশের কোনো ফটোগ্রাফিবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের পেজ ফেসবুক কর্তৃক ‘ভেরিফাইড’ হলো। সেই ফটোফি ঘোষণা করেছে এবারের বর্ষসেরা আলোকচাত্রীর নাম।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর একজন প্রতিশ্রুতিশীল আলোকচিত্রীকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। আজ ২৭ অক্টোবর ২০২০ সালের কাজের জন্য বর্ষসেরা আলোকচিত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। রিয়াদ আবেদীন ‘ইন দ্য সার্চ অব লস্ট টিউন’ শীর্ষক ফটো-স্টোরির জন্য পুরস্কারটি পাচ্ছেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ‘ফটোফি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারটি দশম বর্ষে পা রাখলো।
এবছর এই আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ফটোফির সঙ্গে প্রথমবারের মতো আছে থ্রিসিক্সটি বিনোদন। কেননা, থ্রিসিক্সটি বিনোদন বাংলাদেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশে ভূমিকা রাখতে চায়।
বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের মানুষকে নিজের শিকড় ছেড়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাড়ি জমাতে হয়। কিন্তু শিকড়ের কাছে ফেরার আকুতি মনে রয়েই যায়—এই আকুতিকেই ফটো-স্টোরিতে তুলে ধরেছেন এই তরুণ আলোকচিত্রী। একই কাজের জন্য গতবছর তিনি ‘সনি স্টুডেন্ট গ্রান্ট’ অর্জন করেছেন।
ফটোফি বর্ষসেরা আলোকচিত্রী পুরস্কার পেয়ে রিয়াদ থ্রিসিক্সটি বিনোদনকে জানান, ‘এটি আমার জন্য একটি বড় খবর। আমাকে সম্মানিত করার জন্য ফটোফিকে ধন্যবাদ।’ ফটোফি একাডেমি অব ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফির প্রধান সমন্বয়ক সিরাজুল লিটন বলেন, ‘শিল্পগুণসম্পন্ন আলোকচিত্রকলার উন্নয়নে এবং তরুণ ও মেধাবী আলোকচিত্রীদের উৎসাহিত করতেই আমরা এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছি। আনন্দের বিষয়, অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা পুরস্কারটিকে দশম বর্ষে নিয়ে আসতে পেরেছি। ফটোফির লক্ষ্য, নান্দনিক আলোকচিত্রচর্চার প্রসার বাড়ানো।’
রিয়াদের জন্ম ১৯৯৩ সালে। এর আগে তিনি ইয়ান পেরি স্কলারশিপে ফাইনালিস্ট হয়েছিলেন। তার ছবি নিউইয়র্কে প্রদর্শিত হয়েছে। ফটোফি বর্ষসেরা আলোকচিত্রী পুরস্কার হিসেবে রিয়াদ পাচ্ছেন ২০ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। নভেম্বরের কোনো এক সময়ে পুরস্কারটি তার হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছি ফটোফি।
এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে আলোকচিত্রী এসএ শাহরিয়ার রিপন (২০১১), কামরুজ্জামান (২০১২), মুনেম ওয়াসিফ (২০১৩), প্রীত রেজা (২০১৪), কেএম আসাদ (২০১৫), জয় কে রায় চৌধুরী (২০১৬), সুমন ইউসুফ (২০১৭), ফরিদা আলম (২০১৮) এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ (২০১৯)।