অ্যাডাল্ট ‘এ’ রেটিং পাওয়ার পরও আপত্তি

লকডাউনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সঙ্গে চারটি চরিত্রের মানিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টার গল্প ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’। গল্পের কেন্দ্রে আছে মেহেরুন্নেসা নামের এক যৌনকর্মীর জীবন। তার সংলাপে যৌনপল্লির ভাষা, আর তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের কিছু দৃশ্যায়নও আছে চলচ্চিত্রে।

অ্যাডাল্ট রেটিংয়ের পরও সেই চলচ্চিত্রের মোট ২৪টি অংশ বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চলচ্চিত্রের নিয়ম মেনেই অ্যাডাল্ট ‘এ’ রেটিং পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। এরপরও এর ১২টি দৃশ্য, ২টি ভিজ্যুয়াল এবং ১০টি অডিও কেটে বাদ দিতে বলা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে
‘ইন্ডিয়া লকডাউন’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা মধুর ভান্ডারকার বলেন, “এই সবগুলো দৃশ্যই কামাথিপুরার এক যৌনকর্মীর জীবনকে ঘিরে। আমাকে বলা হয়েছে, সংলাপগুলো সমস্যার। গল্পের বাস্তবতাকে ধরে রাখতে এই ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, আর এর জন্য আমরা ‘এ’ সার্টিফিকেট নিতেও প্রস্তুত। কিন্তু এতগুলো শব্দ আর গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য বাদ দিলে গল্পের সারমর্ম ও প্রভাব হালকা হয়ে যাবে। চলচ্চিত্রে বাস্তবতা ধরে রাখতে এই বিষয়গুলো গল্প বলার অংশ হিসেবেই আমার রাখতে হয়েছে। আমরা সংশোধনী কমিটির কাছে যাওয়ার কথা ভাবছি।”

‘ইন্ডিয়া লকডাউন’ চলচ্চিত্রে শ্বেতা বসু, প্রতীক বাব্বার, অহনা কুমরা সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন। এই বছরের জানুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে চলচ্চিত্রটির ফার্স্ট-লুক পোস্টার প্রকাশ করেন নির্মাতা মধুর। ভান্ডারকার এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন প্রণব জৈন, ধাবাল জয়ন্তিলাল এবং অক্ষয় জয়ন্তিলাল।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন