পর্নোগ্রাফির মামলায় ফেঁসে আছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে রাজ সম্পর্কে এক এক করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। গাল-গপ্পোও কম তৈরি হচ্ছে না। যাদের সঙ্গে রাজ ও শিল্পার কোনো সম্পর্ক ছিল না তারাও বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন, খোঁচা মেরে কথা বলছেন। আর হাসি-ঠাট্টা তো আছেই। এর মধ্য রাজনৈতিক বক্তব্যও আছে। কোনটি সত্যি কোনটা মিথ্যা—তা চিহ্নিত করা কঠিন। যেমন—এক বিজেপি নেতা দাবি করে বসেছেন, রাজ নাকি তিন হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করেছেন!
ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা রাম কদম বলেছেন, ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানাধীন ‘গেম অব ডট’ নামের অনালাইন গেম ব্যবহার করেই রাজ তিন হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, রাম আরো দাবি করেছেন, এক মডেল-অভিনেত্রীকে হেনস্থা করেছেন রাজ কুন্দ্রা। পুলিশ তখন সেবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেইনি বরং ওই মডেল-অভিনেত্রীকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
রাম মশাই আরো একটি ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন, রাজ নাকি ডিস্ট্রিবিউটরদের কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে আর পরিশোধ করতেন না। তখন ক্ষুব্ধ ডিস্ট্রিবিউটরদের মন রাখতে রাজ ব্যবহার করতেন স্ত্রী শিল্পাকে। এর আগে পুলিশ তো জানিয়েছেই যে, সাধারণ সময়ে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে রাজ প্রতিদিন দুই থেকে তিন লাখ রুপি আয় করতেন, করোনা-লকডাউন শুরুর পর থেকে সেই আয় ৬ থেকে ৮ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
২০১৯-এর গোড়ার দিকে রাজ ‘আর্মসপ্রাইম মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেন। কয়েক মাস পর এই প্রতিষ্ঠান ‘হটশট’ নামে একটি অ্যাপ বাজারে আনে। পুলিশ এই অ্যাপটিকে ‘পর্নো অ্যাপ’ হিসেবে ধরে তদন্ত শুরু করে। তখন থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে পর্নো ভিডিও পাঠানো বন্ধ করে উইট্রান্সফারে ভিডিও পাঠানো শুরু করে রাজ ও তার সহকর্মীরা।
পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট উৎপাদন ও প্রদর্শনের অপরাধে ১৯ জুলাই রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশেরর ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তারপর তার রিমান্ড আবেদন করা হলে ২৩ জুলাই পর্যন্ত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। রাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০সহ মোট চারটি ধারা আরোপ করা হয়েছে। উমেশ কামাত নামের এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি ভারতে রাজের পর্নো ব্যবসা সামলাতেন।