কোভিড-আক্রান্ত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থা সন্তোষজনক নয়। বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। ফেসবুকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। ১৮ জুলাই রাতে তিনি লিখেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে কিছুক্ষণ আগে আমার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে, যার ফলে কর্তব্যরত ডাক্তারগণ বাবাকে ভেন্টিলেশনে নিয়ে যেতে বাধ্য হন—এখন উনার স্যাচুরেশন লেভেল ৯০ রয়েছে।’
তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ইউনাইটেড হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আগামীকাল (১৯ জুলাই) সকাল এগারোটায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।’ মিশুক দেশবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এর আগেও মিশুক তার বাবার শারীরিক অবস্থার কথা ফেসবুকে জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ফকির আলমগীর আজ (১৮ জুলাই) সকালের দিকে কিছুটা সুস্থ ছিলেন। অনেকটা উন্নতিও হয়েছিল। অক্সিজেন লেভেল ছিল ৮০%-এর দিকে । মিশুক জানান, এসময় ফকির আলমগীর উত্তেজিত হয়ে যান এবং জানতে চান তার চশমা ও মোবাইলফোন কোথায়! তারপরই তার অবস্থার আবার অবনতি হতে থাকে। মিশুক দৈনিক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বর্তমানে ফকির আলমগীরকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গত ১৫ জুলাই ফকির আলমগীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। এরপর তার শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। তারপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
এই গুণী সংগীতশিল্পী গণসংগীত ও আধুনিক গান ছাড়াও পাশ্চাত্য সংগীতও করেছেন। তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর তিনি প্রতিষ্ঠাতা। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’ ইত্যাদি তার লেখা গ্রন্থ।