৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসব তো মাতাচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত এই সিনেমার জয় জয়কার সবখানে। এই ডামাডোলে অনেকটা অনুচ্চারিতই রয়ে গেলো বাংলাদেশের আরেকটি চলচ্চিত্রের নাম। যা উৎসবের ‘মার্শে দ্যু ফিল্ম’ তথ্যচিত্র বিভাগের ‘ডক্স-ইন-প্রোগ্রেস’-এ পুরস্কার অর্জন করেছে। তথ্যচিত্রটির নাম ‘মুন্নি’ এবং এর পরিচালক তাহরিমা খান।
নির্মাণ কাজ এখনো চলছে (শেষের দিকে) এবং কাজটি প্রতিশ্রুতিশীল—এমন চলচ্চিত্র-প্রকল্পের জন্য কান উৎসবে এই বিশেষ বিভাগ খোলা হয়েছে। এবছর সেই ‘কান ডক্স’ বিভাগের উপ-বিভাগে ‘দ্য থিংক-ফিল্ম ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলো তাহরিমার ‘মুন্নি’। বাল্যবিবাহের শিকার ঘুরে দাঁড়ানো এক তরুণীর কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্রটি তৈরি। কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম মুন্নি—যিনি বাংলাদেশের এক গ্রামের মেয়েদের নিয়ে একটি খেলাধুলার একাডেমি গঠন করে ফেলেন।
‘ডক্স-ইন-প্রোগ্রেস’ উপ-বিভাগের প্রধান পুরস্কার—আইইএফটিএ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে স্লোভেনিয়ার পরিচালক মাজা দোরোতেজা প্রেলোগের ‘চেনতান্নি’ তথ্যচিত্রটি। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ১২ হাজার মার্কিন ডলার।
‘চেনতান্নি’ ও ‘মুন্নি’ ছাড়াও এবছর পুরস্কৃত হয়েছে, মাদাগাস্কারের ‘গোয়েতো’, ফিলিস্তিনের ‘থ্রি প্রমিজেস’, বেলজিয়ামের ‘অব ডগস এন্ড গডস’, চিলির ‘মিটিং পয়েন্ট’, নেপালের ‘দেবী’ (অনারারি মেনশন পুরস্কার) এবং ইতালির ‘সাভোইয়া’ (অনারারি মেনশন পুরস্কার)।
পুরস্কার ঘোষণার পর তাহরিমা খান জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘এখনো ছবিটির সম্পাদনা চলছে৷ সম্পাদনা শেষ হলে তা সবার জন্য প্রদর্শন করা হবে৷ তখন দেখা যাবে ‘রিয়াল ইমপ্যাক্ট’৷’’ তিনি আরো বলেন, এটি তার জন্য একটি বড় অর্জন৷ তিনি এতে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছেন৷
গত ১৩ জুলাই পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। কান ডক্স-এ মোট ৩২ টি প্রকল্প অংশ নেয়। প্রকল্পগুলো ৯ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ‘মুন্নি’ প্রযোজনা করেছে ‘বাতায়ন প্রোডাকশন্স’। উৎসবে তথ্যচিত্রটি ‘শোকেস সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হয়। সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটির খবর অনুযায়ী, বিচারকেরা জানিয়েছেন, এই পুরস্কার তথ্যচিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুন্নির জন্য, যাতে তিনি তার সুন্দর পৃথিবী গড়ার লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন।