ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীতভক্তদের দীর্ঘ সাত দশক সুরের মায়াজালে বেঁধে রেখেছিলেন সুরসম্রাজ্ঞীখ্যাত লতা মঙ্গেশকর। চিরবিদায়ের বেলায় তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। মৃত্যুতেই কি সব শেষ? তারপর কি আর কিছুই থাকে না? পরজন্ম বলে সত্যিই কি কিছু আছে? এমন প্রশ্ন ওঠে সব কিংবদন্তির বেলাতেই। লতা মঙ্গেশকরেও এক সময় এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যুর পরে একটি ভিডিও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। সেখানে লতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আবার জন্ম নিলে লতা মঙ্গেশকর হয়ে জন্মাতে চাইবেন কিনা?
ভিডিওতে দেখা যায় প্রশ্নটি শুনে হাসছেন লতা মঙ্গেশকর। নিজেই জানান এর আগেও তাকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারপর হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, ‘আবার জন্মাতে না হলেই ভালো হয়। তবে যদি জন্ম নিতেই হয় তাহলে আমি লতা মঙ্গেশকর হয়ে জন্মাতে চাই না।’
এই উত্তর শুনে প্রশ্নকর্তা বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন, ‘কেন না!’ লতা মঙ্গেশকর আবার হাসেন। তারপর হাসি থামিয়ে কারণ জানান, ‘লতার যে কষ্ট তা শুধু লতাই জানে।’ কি এমন কষ্ট লতার? তা অবশ্য তিনি সে সাক্ষাৎকারে খোলাসা করেননি। পুরোনো এই সাক্ষাৎকার সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।
দুঃখ কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের পিঁছু নিয়েছিল ছোটবেলা থেকেই। তবে ঠিক কোন দুঃখের কথা লতা বলেছিলেন তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। সংসারের বড় সন্তান, তাই পুরো পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিনি। শিশু লতা হয়ে ওঠেন চার ভাই-বোনের অভিভাবক।
প্রথম দিকে শুনতে হয়েছিল প্লেব্যাকের জন্য তার কণ্ঠ বেশি চিকন। হার না মেনে সব বাধা-বিপত্তির সঙ্গে লড়ে গেছেন তিনি। তারপর সেই লতাই পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতপ্রেমীদের মনে রাজত্ব করেছেন।