লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটল, সিঙ্গাপুর সহ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে ‘নোনাজলের কাব্য’। দেখানো হয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে কপ ২৬-এ। গতকাল (২৬ নভেম্বর) দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’ মুক্তি পেয়েছে।
ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের সবকয়টি শাখা (বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, এসকেএস টাওয়ার, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার), শ্যামলী সিনেমা ও যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার মুভিজে ‘নোনাজলের কাব্য’ মুক্তি পেয়েছে। এছাড়াও এসেছে নারায়ণগঞ্জের সিনেমাস্কোপ, চট্টগ্রামের সিলভারস্ক্রিন ও সুগন্ধা সিনেমা এবং বগুড়ার মধুবন প্রেক্ষাগৃহে।
‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রের গল্প পটুয়াখালী উপকূলের ইলিশনির্ভর প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই, সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার নিয়ে। ডিঙিনৌকা বা ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকাই তাদের জীবনযাপনের একমাত্র অবলম্বন। যন্ত্রচালিত বড় ট্রলারের আগমন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মাছের জীবনচক্রে পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বেকারত্ব — এসব সমস্যায় জেলেদের জীবন জর্জরিত। এর মধ্যে শহর থেকে গ্রামে আসা এক ভাস্করকে মাছ না পাওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করেন কিছু জেলে। গ্রামবাসীর জল্পনাকল্পনা ও শঙ্কা এবং পরিশেষে সংঘাত—এভাবেই এগোয় চলচ্চিত্রের গল্প।
‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রে গ্রামের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। তার মতে, নির্মাতা গল্পে বাস্তবতার বাইরে বাড়তি রং চড়াননি।চলচ্চিত্রে আরও আছেন তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক ব্যাপারি, আমিনুর রহমান মুকুল, রোজি সিদ্দিকী ও দুলারি তাহিম। আবহসঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার ও ফরাসি প্রযোজক ইলান জেরার।
গত মাসে ‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রের ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। সুমিতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর ওই অঞ্চলের জেলেরাই বাংলাদেশে সবার আগে চলচ্চিত্রটি দেখতে পায়।