মারা গেলেন অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ১৬ জুন মৃত্যু হয় তার। টানা ২১ দিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন এই অভিনেত্রী। এ বছর ২২ মে ৭১ বসন্তে পা রেখেছিলেন দাপুটে বর্ষীয়ান এই তারকা। নাট্যমঞ্চ এবং সিনেমা জগত দুই মাধ্যমেই ছিল তার প্রচুর খ্যাতি। আজ তার সেই পথ চলা থেমে গেল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সত্যজিতের ‘বিমলা’ খ্যাত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ১৯৭০ সালে সেই সময় ভারতের এলাহাবাদে নাট্যমঞ্চের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৭৮ সালে নাট্যদল নান্দীকারে যোগ দেন। অভিনয়ের পাশাপাশি মঞ্চনাটকের সংগীতেও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে পিয়ানো আর বেহালাও খুব ভালো বাজাতে পারতেন। থিয়েটারের সূত্র ধরে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আর সেই আলাপেই বিয়ে এবং সংসার। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত একজন অভিনেতা ও থিয়েটার পরিচালক। নান্দীকার নাট্য সংগঠনের পরিচালক হিসেবে অনেক নাটক পরিচালনাও করেন।
১৯৮৪ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’-র ‘বিমলা’ চরিত্রে অভিনয় করেন স্বাতীলেখা। স্বাতীলেখা এবং তার স্বামী রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ‘ঘরে বাইরে’ সিনেমাটির মধ্যে দিয়ে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ‘ঘরে বাইরে’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস থেকে নির্মিত সিনেমা। এই সিনেমায় স্বাতীলেখার বিপরীতে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর ব্যানার্জি। আর সেই সময় থেকেই এই জুটিকে পছন্দ করেছিলেন তার অনুরাগীরা।
তবে এই জুটিকে আবারও দেখা যায় দীর্ঘ ৩১ বছর পর ‘বেলা শেষে’ সিনেমায়। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ‘বেলা শেষে’ সিনেমায় আবারও সেই সৌমিত্র-স্বাতীর রসায়ন বেশ প্রশংসা কুড়ান। এরপর ‘বেলা শুরু’-তেও অভিনয় করেন। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই চলে গেলেন নায়ক-নায়িকা। গত বছর নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।