গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের এই চলচ্চিত্রটি এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে মনোনীত হয়েছে, মার্কিন অ্যাকাডেমি পুরস্কার অস্কারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে অংশ নিচ্ছে। মেলবোর্ন, বুসান এবং লন্ডন উৎসবেও চলচ্চিত্রটি আমন্ত্রিত হয়েছে। সম্প্রতি গত ১১ নভেম্বর এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে (অ্যাপসা) ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ ও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নেয়। এর মাত্র তিনদিন পরই এবার হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২১-এ পুরস্কার জিতলো চলচ্চিত্রটি।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১৮তম আসরে ‘নিউ ট্যালেন্ট’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। গতকাল ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় উৎসবের বিচারকমণ্ডলী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়। এই বিভাগে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ইরানের ‘ব্যালাড অব আ হোয়াইট কাউ’, লেবাননের ‘কোস্টা ব্রাভা’, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দ্য রিপোর্ট কার্ড’, তাইওয়ানের ‘ইনক্রিজিং ইকো’, ভারতের ‘শাঙ্কারস ফেইরিজ’ ও কম্বোডিয়ার ‘হোয়াইট বিল্ডিং’।
বিচারকমণ্ডলীর মন্তব্য, “‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রে এমন একটি বদ্ধ ও নিপীড়নমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে একজন মানুষকে তার মানসিক সুস্থতার সীমায় ঠেলে দেওয়া হয়। হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় ধারণকৃত গতিশীল কিছু দৃশ্যের সিনেমাটোগ্রাফি দর্শককে প্রধান চরিত্রের কঠিন মানসিক বাস্তবতা বুঝতে সহায়তা করেছে।” আর এই তীব্র মানসিক সংকট ফুটিয়ে তুলতে মূল চরিত্রের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ‘বাস্তবসম্মত’ অভিনয়ের প্রশংসাও করেছেন তারা।
গত ২৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ‘টুয়েলভ ডেজ’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎসবটি শুরু হয়।