স্পিলবার্গের স্বপ্নের প্রজেক্ট

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রডওয়েতে ১৯৫৭ সালে কালজয়ী মিউজ়িক্যাল ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ প্রথম বারের মতো মঞ্চস্থ হয়। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটিশ সাহিত্যিক উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের অনুপ্রেরণায় মিউজিক্যালটি লিখেছিলেন আরথার লরেন্টস, আর পরিচালনা করেছিলেন জেরোমি রবিনস।

এর গল্পে নিউইয়র্কের আপার ওয়েস্ট সাইড এলাকায় ভিন্ন জাতিসত্ত্বার প্রতিপক্ষ দুই স্ট্রিট গ্যাংয়ের দুই তরুণকে পঞ্চাশের দশকের এই শহরের প্রেমে পড়তে দেখা যায়। এই মিউজিক্যালকে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপ দিচ্ছেন হলিউডের নামকরা পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। এই বছরের ১০ ডিসেম্বর টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজের ব্যানারে রোমান্টিক ড্রামা চলচ্চিত্র ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে।

এত বছর পর প্রিয় মিউজিক্যালকে বড় পর্দায় ফেরাতে পেরে গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’র শুটিং চলাকালে একটি ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘‘বরাবরই এটা আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিলো। যখন আমার ১০ বছর বয়স, প্রথম বার ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’র অ্যালবাম শুনেছিলাম। তার পর থেকে কোনও দিন একটা গানও মাথা থেকে বেরোয়নি। নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এটা নিয়ে ছবি তৈরি করতেই হবে আমায়।’’ এমনকি চলচ্চিত্রের কিছু নাচ-গানের দৃশ্য সরাসরি মূল মিউজ়িক্যালটি থেকে অনুপ্রাণিত।ভিডিওটির সঙ্গে চলচ্চিত্রের একটি টিজার জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’ মিউজিক্যাল অবলম্বনে নির্মিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র এটি। এতে ‘মারিয়া’ চরিত্রে রেচেল জ়েলগার এবং ‘টোনি’ চরিত্রে অ্যানসেল এলগর্ট অভিনয় করেছেন। আরও আছেন আরিয়ানা ডিবোস, ডেভিড আলভারেজ, মাইক ফাইস্ট, আর রিটা মরেনো– যিনি ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রেও ছিলেন।

নতুন চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও অতিমারির কারণে তা আটকে যায়। গত বছরের ২৫ আগস্ট নির্মাতা স্টিভেনের বাবা আর্নল্ড স্পিলবার্গ মারা যান। বাবার স্মৃতির উদ্দেশে চলচ্চিত্রটি উৎসর্গ করেছেন স্টিভেন।

এমন আরো সংবাদ

সর্বশেষ বিনোদন